প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৮ এপ্রিল ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে (Jangipur) ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি ভয়ংকর আকার ধারণ করে। আন্দোলনকারীরা পুলিশের দুটি গাড়ি সহ একাধিক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যার ফলে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। সেই সময় বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে টিআর গ্যাসের শেল ফাটানো থেকে শুরু করে লাঠিচার্জ চালায় পুলিশ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদ জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। ১৬৩ ধারাও লাগু করা হয়েছিল।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
এখনও স্তব্ধ জঙ্গিপুর!
যদিও এখন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের অবস্থা স্থিতিশীল হয়েছে। এলাকায় এইমুহুর্তে কোনো জমায়েত হতে দেখা যাচ্ছে না। দাঙ্গা অশান্তির ভয়ে অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছে না, এমনকি কয়েকশো দোকানপাট পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। এই আবহে জলপাইগুড়ি ডিভিশনের পক্ষ থেকে জঙ্গিপুর স্টেশন চত্বরের সুরক্ষা বাড়ানো হয়েছে। যা মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০১৯ সালে এনআরসি আন্দোলনকে ঘিরে জঙ্গিপুর-সহ কয়েকটি রেল স্টেশনে যে ব্যাপক হামলার চিত্র। এ দিন সুতিতে পুলিশ সুপার ইমামদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ, নমাজের পর প্রতিটি মসজিদ থেকে ইমামরা যাতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন করা হয়েছে।
স্টেশনে অতিরিক্ত ৪০ জন আরপিএফ নিয়োগ
জঙ্গিপুরের আরপিএফ ইন্সপেক্টর অভিজিৎ দেবনাথ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, ‘‘ জঙ্গিপুরের সর্বত্রই পর্যাপ্ত ফোর্স পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। জঙ্গিপুর রোড ও নিউ ফরাক্কা জংশনে রাখা হয়েছে সবচেয়ে বেশি জওয়ান। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সকলকে যে কোথাও কোনো গোলমালের খবর পেলেই বাড়তি ফোর্স পাঠানো হবে সেখানে।’’ পরিস্থিতি দেখতে দু’দিন ধরে জঙ্গিপুরে রয়েছেন আইজি গৌরব শর্মা, ডিআইজি মুর্শিদাবাদ ওয়াকার রাজা। দফায় দফায় তাঁরা এলাকা ঘুরে দেখেন, বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে অতিরিক্ত ৪০ জন আরপিএফ কর্মী নিউ জলপাইগুড়ি ডিভিশন থেকে জঙ্গিপুরে এসেছেন।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
অন্যদিকে সেদিনের হামলার ঘটনায় স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান বলেন, ‘‘জঙ্গিপুরে যা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। পুলিশকে বলা হয়েছে যে সমস্ত লোক এই হামলায় জড়িত, সকলকে গ্রেফতার করতে। এই হিংসাকে কোনও মতেই সমর্থন করবে না রাজ্য সরকার।’’ এছাড়াও সেখানকার সুরক্ষাব্যবস্থা আরও কঠোর করতে এবং বিশেষ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে সুতি থানার দায়িত্বে বসানো হয়েছে আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অসীম খানকে। যিনি কিনা এক সময় জঙ্গিপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছিলেন। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে দেওয়া হয়েছে সাইবার ক্রাইম থানার আইসি প্রসূন মিত্রকে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।