প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বাকি দিনগুলির মত গত ২২ এপ্রিল, মঙ্গলবারেও কাশ্মীরের ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত পহেলগাঁওতে সবুজে ঘেরা মনোরম দৃশ্য উপভোগ করেছিল অসংখ্য পর্যটক। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সেই আনন্দ পরিণত হয় দুঃখে। জঙ্গিরা পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি (Pahalgam Terror Attack) চালায়। প্রাণ হারান প্রায় ২৬ জন পর্যটক। আর এবার সেই নৃশংস হত্যা ঘটনার ভয়াবহ ভিডিও ধরা পড়ল এক ব্যক্তির ক্যামেরায়। যা নিয়ে ফের তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ভাইরাল ভিডিও
সূত্রের খবর, ২২ এপ্রিল ছুটি কাটানোর জন্য আহমেদাবাদের এক পর্যটক ঋষি ভট্ট স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে পহেলগাঁওয়ের এই ‘অভিশপ্ত’ জায়গায় গিয়েছিলেন। সম্প্রতি সেখানে তাঁর ভ্রমণের একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে জিপলাইন রাইডে ওঠার পর সেলফি স্টিক দিয়ে মোবাইলে ভিডিও বানাচ্ছিলন ঋষি। যেখানে দেখা গিয়েছে, রাইডে উঠে বেশ উচ্ছ্বসিত ঋষি। আনন্দে চিৎকার করছেন। কিন্তু স্লাইড শুরু করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নিচে দেখা যাচ্ছে সেই ভয়ংকর দৃশ্য। অনেকেই বসে খাবার খাচ্ছিলেন। কেউ কেউ বাচ্চাদের নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছিলেন।
Another video of Pahalgam victim
A Local Kashmiri on ropeway said “Allah-Akbar” 3 times before pushing Rishi Bhatt down where Terrorists were hiding
But this incident has no religion pic.twitter.com/eo9WnbsL9X
— Hindutva Knight (@HPhobiaWatch) April 28, 2025
জিপলাইন অপারেটরকে জেরা NIA-র
এছাড়াও সেই ভিডিওতে দেখা যায় নিচে জঙ্গিদের গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন পর্যটকরা। এদিকে সেই ভিডিও নিয়ে ওই পর্যটক ব্যক্তি ঋষি এক বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি জানান, গুলির শব্দ শোনার আগে অপারেটর নাকি তিনবার আল্লার নাম নিচ্ছিলেন। ফুটেজেও তা ধরা পড়ে। সংবাদসংস্থা ANI এর কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও ঋষি জানায় যে তিনি জিপলাইনে চড়ার আগে ৯ জন জিপলাইনে চড়েছেন। কিন্তু তখন মুখে কোনও কথা উচ্চারণ করেননি ওই অপারেটর। তবে তিনি চড়ার সময়ই তিনবার ‘আল্লাহ হু আকবর’ বলেন ওই অপারেটর। তারপরেই গুলির পরপর শব্দ শোনা গিয়েছে। তখনই ওই ট্যুর অপারেটরকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় ঋষির মনে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
ঋষি আরও জানিয়েছেন যে, গুলি চলার অন্তত ২০ সেকেন্ড পর তিনি বুঝতে পারেন, যে নীচে জঙ্গি হামলা হয়েছে। গুলি করে মানুষ মারা হচ্ছে। এমতাবস্থায় জিপলাইন থেকে নেমেই তাড়াতাড়ি স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে এলাকা থেকে পালান। বহু মানুষ নাকি নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে একটা ঢিবির পিছনে আড়াল হয়ে যাচ্ছিলেন, তাই তাঁরাও সেখানে লুকিয়ে পড়েন। এদিকে ওই পর্যটকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই জিপলাইন অপারেটরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে NIA। স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে, জঙ্গি হামলার কথা কি তাহলে সেখানকার মানুষ অনেক আগে থেকেই জেনে গিয়েছে? তাহলে কেন ঋষিকে এগিয়ে দেওয়ার আগে জিপলাইন অপারেটর আল্লার নাম নিচ্ছিলেন? তবে এখনও এর কোনো স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।