গত বছর বাংলাদেশের চিত্রটা অনেকটা অন্যরকম ছিল। বাংলাদেশের মসনদে ছিলেন শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা। বলা যায় শান্তি হয়ত তখনও বাংলাদেশের বজায় ছিল। এরপর এরপর ছাত্র আন্দোলনে গর্জে ওঠে বাংলাদেশ। মৃত্যু হয় বেশ কিছু বাংলাদেশি ছাত্র থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের। আর এর পরেই উত্তপ্ত জনতার কাছে গদি হারান শেখ হাসিনা।
রীতিমতো পালিয়ে প্রাণে বাঁচতে হয় তাকে। কিন্তু তার এবং তার বাবার উপর থাকা বাংলাদেশীদের রাগ একে একে বিলুপ্ত করে দেয় বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার তৈরি করা সমস্ত স্মৃতি। একের পর এক মূর্তি স্মৃতিসৌধ ভাঙার পর মৌলবাদীরা গুঁড়িয়ে দেয় মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি।
বুধবার ভার্চুয়ালি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন শেখ হাসিনা। তবে তার ভাষণ সম্প্রচারের কথা আগেই ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগ। আর এই ভাষণ যেন হাসিনা বিরোধীদের ক্ষোভে ঘৃতাহুতির কাজ করে। সেই রাতে বুলডোজার, ক্রেন দিয়ে ভাঙা হয় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি।
এই ঘটনায় রীতিমতো ক্রুদ্ধ শেখ হাসিনা। এই ঘটনাকে পৈশাচিকতা বলে বর্ণনা করে তিনি বলেন, “এত জুলুম করে কেউ টিকতে থাকতে পারে না। কিছুদিনের মধ্যেই তারা যে অন্যায় করে চলেছে এর জবাব বাংলার মানুষ দেবে। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। হয়ত সাময়িক বিকৃত করা যায়। কিন্তু ইতিহাস জেগে উঠে ফের প্রতিশোধ নেয়। ইতিহাস আবার জেগে উঠবে।”
এই রাতে শুধু মাত্র বঙ্গবন্ধুর বাড়ি নয় ধানমন্ডিতে শেখ হাসিনার বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে শুধু শেখ হাসিনা বা শেখ মুজিবের বাড়ি নয়। খুলনায় শেখ হাসিনার কাকা, এছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাংসদদের বাড়িও ভেঙে দেওয়া হয়েছে বা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় কবি হুমায়ুনের আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনকেও রাষ্ট্রবিরধী কাছে জড়িত থাকার অপরাধে জেল বন্দি করা হয়েছে।