এক ধাক্কায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভাতা ২১০০ টাকা হচ্ছে, কবে থেকে কার্যকর হবে?

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে চালু হওয়া লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বর্তমানে এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা এবং তফশিলি জাতী ও তফশিলি উপজাতীয শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১২০০ টাকা আর্থিক সহযোগিতা পান।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়ছে?

সূত্রের খবর অনুযায়ী, লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতা এক লাফে প্রতি মাসে ২১০০ টাকা পর্যন্ত হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও সরকারিভাবে কোন রকম ঘোষণা করা হয়নি। তবে রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে ভাতা বৃদ্ধির এই সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বেগ দেখা গেছে।

READ MORE:  স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? হাইকোর্ট কী রায় দিল দেখুন

কাদের জন্য প্রযোজ্য?

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের এই বাড়তি ভাতা পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। সেগুলি হল- 

  • বার্ষিক আয়ের সীমা- যেসব মহিলাদের বার্ষিক আয় ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকার কম, শুধুমাত্র তারাই এই বাড়তি বাধা পাবেন।
  • ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার প্রয়োজন- উপযুক্ত ডকুমেন্ট জমা দিয়ে নিজেদের আর্থিক অবস্থা প্রমাণ করতে হবে। তাহলেই এই বাড়তি ভাতা পাওয়া যাবে।
READ MORE:  Gold and Silver Price: রেকর্ড গড়ল সোনা, হু হু করে বাড়ল দাম! আজকের রেট কত? | Kolkata Gold and Silver Price Today

কবে থেকে কার্যকর হবে?

অনুমান করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধি কার্যকর করা হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে নির্দিষ্ট তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে সরকার এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের আধিকারিকরা। 

মহিলাদের প্রতিক্রিয়া

লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় ভাতা বাড়ানোর খবর রাজ্যের মহিলাদের জন্য অত্যন্ত সুখবর নিয়ে আসবে। অনেকেই বলছেন যে, এই সিদ্ধান্ত তাদের দৈনন্দিন জীবনের আর্থিক সুরক্ষা আনতে সাহায্য করবে। 

READ MORE:  NCL Recruitment 2025: মাধ্যমিক পাসে কোলফিল্ডস লিমিটেডে প্রচুর স্টাফ নিয়োগ, কোনও পরীক্ষা ছাড়াই চাকরি | Job In Madhyamik Pass

২০১৯ সালে চালু হওয়ার পর থেকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ২ কোটির বেশি মহিলাকে উপকার করেছে। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে এই প্রকল্পের টাকা সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে দেওয়া হয়, যা তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

Scroll to Top