দেশ জুড়ে দেশন ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবার রেশন ডিলাররা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা দাবি করছে, সরকারের এই নীতি ধীরে ধীরে গণবন্টন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দেবে। যা সাধারণ মানুষের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
কী নিয়ে বিতর্ক?
কেন্দ্র সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার থেকে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড এবং মোবাইল নাম্বার লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়, গ্রাহকের রেশন কার্ডের সঙ্গে ব্যাংক একাউন্টও এবার থেকে লিঙ্ক করতে হবে। এই পদ্ধতিতে সরাসরি ভর্তুকির টাকা গ্রাহকদের ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হবে।
সরকার এই নিয়ে যুক্তি দেখাচ্ছে যে, এই পদক্ষেপে দুর্নীতি অনেকটাই কমবে এবং প্রকৃত উপভোক্তারা সরাসরি উপকৃত হবে। তবে রেশন ডিলাররা মনে করছেন, এর ফলে রেশন দোকানের ভূমিকা ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবে।
কেন এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত?
রেশন ডিলাররা অভিযোগ করছে যে, নতুন নিয়ম কার্যকর হলে রেশন সামগ্রী আর রেশন দোকান থেকে সরবরাহ করা হবে না। গ্রাহকদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা দেওয়া হবে। অর্থাৎ, গ্রাহকদের খোলা বাজারে চাল, গম, চিনি কেনার জন্য ভর্তুকির টাকা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে জমা হবে। এই অবস্থায় অনেক দরিদ্র মানুষ বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হবেন।
রেশন ডিলারদের বক্তব্য
অল ইন্ডিয়া শেয়ার প্রাইস শপ ডিলার ফেডারেশন অভিযোগ করেছে যে, এই পদ্ধতি চালু হলে ধাপে ধাপে দেশের গণবন্টন ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে। মহারাষ্ট্র, চন্ডিগড়, পুদুচেরি এবং লাক্ষাদ্বীপে এই স্কিম চালু হওয়ার পর সেখানকার রেশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
রেশন ডিলাররা ঘোষণা করেছে, ১লা এপ্রিল নয়া দিল্লিতে পার্লামেন্ট অভিযান এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করা হবে। এরপর থেকেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু হবে।
সরকারের যুক্তি
এই পদক্ষেপ নিয়ে সরকার যুক্তি দেখাচ্ছে যে, এই ব্যবস্থা চালু হলে দুর্নীতি অনেকটাই কমবে, প্রকৃত উপভোক্তারা সুবিধা পাবেন এবং রেশন বিতরণে স্বচ্ছতা আসবে। রেশন ব্যবস্থায় এই পরিবর্তন সাধারন মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময় বলে দেবে। তবে রেশন ডিলারদের আশঙ্কা সত্যি হলে দেশের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষকে আরো বড়সড়ো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।