বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারত-পাকিস্তান (Pakistan) যুদ্ধ যুদ্ধ আবহাওয়া! এই বুঝি শোনা যায় গোলাগুলির শব্দ! এমন যুদ্ধ পূর্ববর্তী আশঙ্কায় দুই দেশের সীমান্তেই জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। যখন তখন গোপনে শুরু হয়ে যেতে পারে ভয়ঙ্কর মহারণ! এমতাবস্থায়, একের পর এক হুমকি মিশ্রিত বার্তা দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। সম্প্রতি পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে, চিন ও তুরস্কের পর নাকি, এবার আজারবাইজানও ভারতের বিরুদ্ধে তাদের পাশে এসে দাঁড়াল।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
3 শক্তিশালী দেশের সমর্থন পেয়েছে পাকিস্তান!
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিমুহূর্তে পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে চিন এবং তুরস্ক। একই সাথে পাকিস্তানের শুভাকাঙ্ক্ষীর তালিকায় নাম জুড়েছে আজারবাইজানেরও। পাক মুলুকের সাথে তাদের সখ্যতা একেবারেই নতুন নয়। জানিয়ে রাখি, এর আগে আর্মেনিয়ার সাথে যুদ্ধে আজারবাইজানকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল তুরস্ক ও পাকিস্তান। ফলত, আজারবাইজান যে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে পারে এ কথা অনেকটাই পরিষ্কার।
বলা বাহুল্য, তুরস্কের পাশাপাশি পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও সবরকম সহায়তা পায় আজারবাইজান। বিগত বছরগুলিতে পাকিস্তান ও আজারবাইজানের মধ্যে একাধিক সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পারস্পরিক অস্ত্র চুক্তি ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়ে একাধিক সামরিক মহড়ায় পা বাড়ায় আজারবাইজান।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
পাকিস্তানকে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছে চিন ও তুর্কি!
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পরই ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়েছে। তবে দুই দেশের বিরোধিতাকে প্রশমিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ইরান ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলি। এমতাবস্থায় শোনা যাচ্ছে বড় খবর! সূত্র বলছে, ভারত আক্রমণ করতে পারে সেই ভয়ে ইতিমধ্যেই নাকি ইসলামাবাদে একাধিক মারাত্মক অস্ত্র পাঠিয়েছে চিন ও তুরস্ক! শুধু তাই নয়, দুই দেশের উত্তেজনার মাঝে চিন নাকি ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষায় সমর্থন ঘোষণা করেছে।
অবশ্যই পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের নেপথ্যে বিরাট রহস্য! কার ভুলে তৈরি হয়েছিল POK?
ভারতের আক্রমণের ভয়ে গুটিয়ে চিন!
সম্প্রতি চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা মৌলিক স্বার্থের অনুকূল নয়। এই ধারা অব্যাহত থাকলে দুই দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হবে। চিন চায় দুই দেশই যেন শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখে। এদিন চিনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যে সংযম বার্তা থাকলেও বাস্তব অভিজ্ঞতা, বর্তমানে চিন ভারতের আক্রমণের আশঙ্কায় ভুগছ। ড্রাগনের দেশের ভয়ের কারণ, পাকিস্তানে আক্রমন চালাতে গিয়ে পাছে সেদেশের চিনা বন্দর গুলিতে আঘাত করে ভারত। ফলত, ভারতীয় সেনার হামলার ভয়ে কার্যত সুর নরম করেছে জিনপিংয়ের সরকার।