সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) স্পষ্ট করেছে যে পুরনো ১০০ টাকার নোট এখনও বৈধ এবং লেনদেনে ব্যবহারযোগ্য। তবে, আরবিআই নতুন ১০০ ও ২০০ টাকার নোট প্রকাশ করেছে, যেগুলিতে নতুন গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রার স্বাক্ষর রয়েছে।
পুরনো নোটের বৈধতা ও পরিবর্তন
-
পুরনো ১০০ টাকার নোট এখনও বৈধ এবং লেনদেনে ব্যবহারযোগ্য।
-
ফাটা বা ক্ষতিগ্রস্ত নোট নিকটস্থ ব্যাঙ্কে গিয়ে পরিবর্তন করা যাবে।
-
৫,০০০ পর্যন্ত মূল্যমানের নোট পরিবর্তনের জন্য পরিচয়পত্র প্রয়োজন নেই।
সংগ্রাহক মূল্যবান নোট
কিছু পুরনো ১০০ টাকার নোট সংগ্রাহকদের মধ্যে উচ্চমূল্যে বিক্রি হতে পারে, যেমন:
-
“৭৮৬” সিরিজের নোট
-
১৯৪৯ বা ১৯৫৭ সালের মুদ্রিত নোট
-
বিশেষ গভর্নরের স্বাক্ষরযুক্ত নোট (যেমন: সি.ডি. দেশমুখ)
এই ধরনের নোটের মূল্য ৫০০ থেকে ৫০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে, যদি সেগুলি ভালো অবস্থায় থাকে।
আসল ও নকল নোটের পার্থক্য
-
মহাত্মা গান্ধীর ছবি উঁচু ও স্পষ্ট হওয়া উচিত।
-
নোটের ডান পাশে জলছাপ (ওয়াটারমার্ক) থাকতে হবে।
-
আরবিআই-এর লোগো ও গভর্নরের স্বাক্ষর স্পষ্ট হওয়া উচিত।
-
নোটকে হালকা কোণে ঘোরালে রঙ পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা সুতো দেখা যাবে।
করণীয়
-
পুরনো ১০০ টাকার নোট থাকলে চিন্তার কিছু নেই; সেগুলি এখনও বৈধ।
-
ক্ষতিগ্রস্ত নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে পরিবর্তন করুন।
-
বিশেষ সিরিজ বা পুরনো বছরের নোটের মূল্য সংগ্রাহকদের মধ্যে যাচাই করুন।
-
নকল নোট থেকে সতর্ক থাকুন এবং সঠিকভাবে যাচাই করুন।
আরবিআই-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, পুরনো ১০০ টাকার নোট এখনও বৈধ এবং লেনদেনে ব্যবহারযোগ্য। তবে, ক্ষতিগ্রস্ত নোট ব্যাঙ্কে গিয়ে পরিবর্তন করা উচিত এবং বিশেষ সিরিজের নোটের মূল্য সংগ্রাহকদের মধ্যে যাচাই করা যেতে পারে।