প্রতিশ্রুতি মেনে চাকরি দেয়নি সরকার! জলপ্রকল্পে তালা দিয়ে ‘প্রতিবাদ’
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০২৬ সালের মধ্যে জেলার প্রতিটি বাড়িতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর তাই রাজ্যের প্রতিটি জেলায় (Malda) বিভিন্ন অঞ্চলে পরিস্রুত পানীয় জলের রিজার্ভার তৈরির কাজ চলছে। দরকার পড়ছে জমির। তাই জমির সমস্যা মেটাতে জমিদাতার পরিবারকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে পাম্প অপারেটরের চাকরি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই চাকরির সুযোগ পাচ্ছে না এক আদিবাসী পরিবার। আর তাই দুই সরকারি প্রকল্পের কর্মক্ষেত্রে তালা ঝোলালেন তাঁরা।
ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুরের হরিপুর গ্রাম এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দা শ্রীনাথ হেবব্রম ও তাঁর পরিবার গত সোমবার, ধানি জমির এক পাশে যেখানে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলপ্রকল্প তৈরি হচ্ছে এবং ঠিক তার পাশে যেখানে বর্জ্য থেকে সার তৈরির নবনির্মীত ঘর রয়েছে সেই দুই জায়গায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তাঁদের দাবি ২০২৩ সালে সরকারি প্রকল্পের জন্য তাঁরা প্রশাসনকে জমি দিয়েছিল। সেই সূত্রে সরকার তাঁদের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জমিদাতার পরিবারকে চাকরি দেওয়া হয়নি প্রশাসনের তরফে। এছাড়াও ওই আদিবাসী পরিবার দাবি করছে যে এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জমিদাতার চাকরি হাতানো চেষ্টা করছেন। এদিকে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। যাতে সুর ছড়িয়েছে বিরোধী দলের নেতারাও।
জানা গিয়েছে দুই বছর আগে শ্রীনাথের জমিতে যখন সরকারের দুই প্রকল্পের কাজ চলছিল তখন জাজইল অঞ্চলের প্রধান ছিলেন কিস্টুর স্ত্রী মিনতি টুডু। কিস্টু রীতিমত শ্রীনাথকে প্রলোভন দিয়ে জমিটিতে সরকারি প্রকল্প তৈরির কাজে উদ্যোগী কোরআন বলে অভিযোগ তোলে শ্রীনাথের ছেলে অবিনাশ মুর্মুর। তিনি বলেন, “সরকারি চাকরির প্রলোভন দিয়ে কিস্টু আমাদের চাষের জমিটি নেয়। এখন প্রকল্পের কাজ শেষ হতে চলেছে। অথচ, প্রতিশ্রুতি মতো চাকরির কোনও নথি পাইনি। উল্টে কিস্টু আমাদের চাকরি হাতানোর চেষ্টা করছেন।” এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “ কারোর থেকে সরকারি প্রকল্পের জন্য জমি নেওয়া হয়ে থাকলে নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসন তাঁকে সর্বস্ব সুবিধা দিয়ে থাকে। তাই এই ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।”
শাসকদলের এই হেন কাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হবিবপুরের বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “জমি অধিগ্রহণ নীতির বিরোধিতা মুখ্যমন্ত্রী সব সময় করেন। অথচ তাঁর দলের নেতারা আদিবাসীদের জমি দখল করছেন। দলে নম্বর বাড়ানোর জন্য গরিব মানুষের জমিতে সরকারি প্রকল্প করাচ্ছেন।” এদিকে কিস্টু পাল্টা দাবি করেন যে, “শ্রীনাথের পরিবার যাতে সরকারি সুযোগ পায়, তার জন্য নানা দফতরে ছুটছি। কিন্তু এদিকে আমার নামে তাঁরা কেন এই অভিযোগ করছেন, তা বুঝতে পারছি না।”
শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: গরমে হাঁসফাঁস করছেন বাংলার মানুষ। তাপমাত্রা যেন কমতেই চাইছে না। মাঝেমধ্যে দমকা…
বাজেট ফ্রেন্ডলি রিচার্জ প্ল্যান এনে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে BSNL। কম দামে দীর্ঘ মেয়াদের একাধিক রিচার্জ…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আজ ৩১শে মার্চ, সোমবার। আজকের রাশিফল (Ajker Rashifal) অনুযায়ী আপনার দিনটি কেমন…
Samsung আনতে চলেছে নতুন প্রযুক্তির ফোল্ডেবল স্মার্টফোন, যা ৩৬০ ডিগ্রি ফোল্ড করা যাবে বলে দাবি…
গত কয়েকবছরে স্মার্টফোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটিতে পরিবর্তন এসেছে। এখন ৫০০০ এমএএইচ এর পরিবর্তে ফোনে আরও বড়…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ডিএ মামলা (DA Case) নিয়ে বিতর্ক এখন…
This website uses cookies.