বিনা ঝঞ্ঝাটে বাড়িতে বসে এক ক্লিকেই পান পঞ্চায়েতের ৬ শংসাপত্র! উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সরকারি কোনো কাজে বা সরকারি কোনো শংসাপত্র পাওয়ার তাগিদে মাসের পর মাস বিভিন্ন দফতরে চক্কর কাটা এখন খুবই সাধারণ হয়ে গিয়েছে। সহজে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ মেটে না। যার ফলে একের পর এক সমস্যায় রীতিমত জড়িয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। তার উপর আবার চলে ঘুষের কারবার। কোনো সরকারি কাজ অসৎ পথে বিনা বাধায় করিয়ে দেওয়ার জন্য অনেকেই টেবিলের তলা থেকে আধিকারিকদের ঘুষ দিয়ে থাকে। আর এই চক্করে বাকিদের কাজ আর হয়ে ওঠে না, তাই এবার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় যে পঞ্চায়েত এলাকায় বাসিন্দাদের ইনকাম সার্টিফিকেট বা ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট পেতে গেলে রীতিমত পকেট ফাঁকা হয়ে যায়। আজ এই দফতরে যাওয়া তো কাল অন্য দফতরে। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত অফিসে গেলে অনেক সময় প্রধানকে পাওয়া যায় না, আবার বাড়ি গিয়েও অনেক সময় দেখা মেলে না পঞ্চায়েত প্রধানের। ফলে সেক্ষেত্রে এই ধরনের সার্টিফিকেট পেতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তাই এবার এই যাবতীয় সমস্যার সমাধান এক ক্লিকেই করতে অনলাইন ব্যবস্থার (App For Panchayat Certificates) চল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে সরকারি সার্টিফিকেটের জন্য আর ছুটতে হবে না পঞ্চায়েত অফিসে। বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে এই ধরনের সার্টিফিকেট।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ আনছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। মোট ছয় ধরনের শংসাপত্র মিলবে এখান থেকে জাতিগত শংসাপত্রের আবেদনের জন্য প্রধানের শংসাপত্র, ডিসট্যান্স সার্টিফিকেট, ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট, ব্যক্তি পরিচয়পত্র, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট, ইনকাম সার্টিফিকেট। জানা গিয়েছে এখন থেকে আবেদনকারীর আবেদনের ঠিক ৭ দিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে এই সার্টিফিকেটগুলি। যার ফলে একদিকে যেমন আবেদনকারীকে হয়রানির শিকার হতে হবে না, অন্যদিকে অনলাইনে আবেদন চালু হলে আর কেউ টাকা চাইতে পারবেন না। এছাড়াও পঞ্চায়েত এলাকায় ট্যাক্সও অনলাইনে প্রদান করা সম্ভব হবে। যেটি কিনা অনেক আগেই পুরসভা এলাকায় চালু রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, “সব পঞ্চায়েতকে স্মার্ট করে তোলা হবে। সব গ্রামকে স্বচ্ছ রাখার জন্য সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে জোর দেওয়া হয়েছে। পুরসভা এলাকার মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করা হবে। এসবের পাশাপাশি বিভিন্ন পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের যে সমস্ত গেস্ট হাউস বা হোম স্টে রয়েছে সেগুলিও অনলাইনে বুকিং করা যাবে।” আর এই অনলাইন প্রসেসের জন্য কোনো সাইবার ক্যাফেতে যেতে হবে না, বাড়ি বসেই অনলাইনে আবেদন করা যাবে। তবে যারা অনলাইনে অভ্যস্ত নন তাঁরা বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকেও আবেদন করতে পারবেন।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
ব্যাঙ্ক ডিপোজিট স্কিম নিয়ে আলোচনা হলে বেশিরভাগ মানুষই প্রথমে ফিক্সড ডিপোজিটের (FD) কথা ভাবেন। এটি…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের প্রধান তিন টেলিকম সংস্থা Reliance Jio, Airtel ও Vodafone Idea (Vi)…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গত বারের ডিভেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের অবস্থা এ মরসুমে একেবারে শোচনীয়! লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে…
২০২৪ সালের জুন মাসের পর এবার ২০২৫ সালের এপ্রিল, এক বছরের মধ্যে জাতীয় সড়কে এই…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দিনে দুপুরে কলকাতা সহ একাধিক জেলায় নানা ধরনের হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেই চলেছে।…
শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ রামনবমীর আগেই লটারি লাগল রাজ্য সরকারি কর্মীদের। এবার সকলে সপ্তম বেতন পে…
This website uses cookies.