ব্যাংক জালিয়াতিতে উড়ে গেল ১০৭ কোটি টাকা! আপনার টাকা সুরক্ষিত তো?
ভারতের ডিজিটাল লেনদেনের হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক জালিয়াতিও (Bank Fraud) ক্রমশ বেড়ে চলেছে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই নাকি ডিজিটাল প্রতারণার শিকার হয়ে গ্রাহকরা ১০৭ কোটি টাকা হারিয়েছে।
এর ফলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সাধারণ মানুষ। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট বলছে, প্রতারণার শিকার হওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনই চাইছে ব্যাংক যেন তাদের হারানো টাকা ফেরত দেয়। পাশাপাশি অর্ধেকের বেশি মানুষ চাইছেন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি যেন গ্রাহক সুরক্ষায় আরো বাড়তি নজরদারি করে।
বেশ কিছু সূত্র মারফত খবর, সম্প্রতি ১৪টি দেশের ১১হাজার জন গ্রাহকের উপর একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের গ্রাহকদের কাছ থেকেও বিভিন্ন মতামত নেওয়া হয়েছে।
এই পরিসংখ্যানগুলি দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, মানুষ এখন আর্থিক নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিত এবং তারা চান সরকার ও ব্যাংকগুলি যেন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, অনলাইন ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট এবং ইউপিআই ব্যবস্থার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রতারকের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। ভুয়ো লিংক বা ইমেইলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ফোন কল বা মেসেজের মাধ্যমে ওটিপি জেনে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সিম ক্লোন করে ব্যাংকিং তথ্য চুরি করা হচ্ছে। এমনকি গ্রাহকদের ভুলিয়ে জাল অ্যাপে লগইন করিয়ে ব্যাংকের তথ্য চুরি করে নেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, যতদিন না গ্রাহকরা সতর্ক হবেন এবং ব্যাংকগুলো আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, ততদিন এই সমস্যা আটকানো সম্ভব হবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে সংসদে এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা চলেছে এবং সরকার জানিয়েছে যে, ডিজিটাল প্রতারণা প্রতিরোধ করতে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ব্যাংকগুলিকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন প্রতারণার ঘটনা ঘটলেই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি AI ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্দেহজনক লেনদেন সনাক্ত করা হচ্ছে। গ্রাহকরা যাতে সহজেই অভিযোগ জানাতে পারে, সেজন্য হেল্পলাইন নাম্বারও চালু করা হয়েছে।
ডিজিটাল প্রতারণা থেকে নিজেকে বাঁচাতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা মেনে চলুন। প্রথমত অপরিচিত নাম্বার থেকে আসা ফোন কল বা মেসেজিং ওটিপি এড়িয়ে চলুন। ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ছাড়া অন্য কোন পোর্টালে লগইন করবেন না।
পাসওয়ার্ড ও পিন নাম্বার গোপন করে রাখুন এবং নিয়মিত পরিবর্তন করুন। যেকোন সন্দেহজনক লেনদেন হলে দ্রুত ব্যাংকে জানান। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমেইল এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। ডিজিটাল প্রতারণা রোধ করতে ব্যাংক, সরকার এবং সাধারণ গ্রাহকদের একসঙ্গে এগিয়ে এসে জরুরি। ব্যাংকিং সুরক্ষা যত শক্তিশালী হবে তত ডিজিটাল প্রতারণা হ্রাস পাবে।
ভারতে কুইক কমার্সের জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি বিভিন্ন আইটেম বাড়িতে…
ভারত সরকার দেশের দরিদ্র ও অভাবী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা…
প্রীতি পোদ্দার, কোচবিহার: কিছুদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড়ে এক বিজেপি কর্মীকে যৌণ নিগ্রহের অভিযোগ…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পুরনো সঙ্গীর হাতেই বধ হবে RCB? বিষয়টা খানকিটা তেমনই। এক সময়ে রয়েল…
শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: পেনশন নিয়ে জরুরি খবর। মূলত এবার মহিলাদের জন্য পারিবারিক পেনশন (Family Pension)…
আপনি যদি কম দামে নতুন LED TV কেনার কথা ভেবে থাকেন, তাহলে এই প্রতিবেদন থেকে…
This website uses cookies.