ভোটার কার্ড বাতিল হতে পারে! আধার কার্ডের সাথে এখনই লিঙ্ক করুন

নির্বাচনী স্বচ্ছতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে, নির্বাচন কমিশন ভোটার আইডি কার্ডকে (Voter Card) আধারের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। এই উদ্যোগটি আধারের সাথে প্যান কার্ড সংযুক্ত করার প্রয়োজনীয়তার অনুরূপ, এবং এর লক্ষ্য হল নকল এবং ভুয়া ভোটারদের সনাক্ত করে ভোটার তালিকাকে আরও নির্ভুল করা।

২০২১ সালে, ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনের পর, নির্বাচন কমিশন ভোটারদের কাছ থেকে আধার নম্বর সংগ্রহ শুরু করে। তবে, ভোটার আইডির সাথে আধার সংযুক্ত করার প্রক্রিয়াটি এখনও বাধ্যতামূলক করা হয়নি। কিন্তু এবার হতে পারে!

READ MORE:  চাকরি ছাড়াই মিলবে পেনশন, সবাই পাবে! কেন্দ্র সরকারের বড় ঘোষণা

জানা গিয়েছে, পরবর্তী সপ্তাহে, এই সংযোগ নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং UIDAI (আধার ইস্যুকারী সংস্থা) এর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

এই পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান উদ্বেগ হল ডুপ্লিকেট ভোটার আইডির সমস্যা। সম্প্রতি, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের ভোটারদের একই ভোটার আইডি (EPIC) নম্বর থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নির্বাচন কমিশন স্বীকার করেছে যে কিছু রাজ্যে, ভোটার আইডির জন্য ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক সিরিজে ত্রুটির কারণে একই নম্বরগুলি ভুল করে পুনরায় ইস্যু করা হয়েছিল।

READ MORE:  জিও ও এয়ারটেলের সেরা কিছু রিচার্জ প্ল্যান, কম খরচে মিলবে অনেক সুবিধা

সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ

নির্বাচন কমিশন এই সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা ঘোষণা করেছে যে ডুপ্লিকেট EPIC নম্বরযুক্ত ভোটারদের আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন নম্বর দেওয়া হবে। তবে, কমিশন স্পষ্ট করেছে যে ডুপ্লিকেট নম্বর থাকা মানে ভোটাররা ভুয়া নয়। ডুপ্লিকেট EPIC নম্বরযুক্ত যে কোনও ভোটার এখনও ভোট দিতে পারবেন, তবে তারা কেবল সেই নির্বাচনী এলাকায় ভোট দিতে পারবেন যেখানে তারা রেজিস্টার্ড।

READ MORE:  ১১ বছরের অপেক্ষার অবসান! এবার পেনশনভোগীদের জন্য বড় সুখবর দিল কেন্দ্র

প্রসঙ্গত, ভারতে নির্বাচনী স্বচ্ছতা উন্নত করার জন্য ভোটার আইডি এবং আধার সংযুক্ত করার পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদিও প্রক্রিয়াটি এখনও বাধ্যতামূলক করা হয়নি, চলমান আলোচনা দেখায় যে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা আরও নির্ভুল করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে এবং নকল ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সম্ভাবনা হ্রাস করতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।