মায়ের সাজ পোশাক নিয়ে মজা করেছিল ছেলে! রাগের বশে ১৫ বছরের ছেলের করুন পরিণতি মায়ের হাতে

মাঝেমধ্যে এমন বেশ কিছু খুনের ঘটনা সামনে আসে যা শুনলে রীতিমতো হাড় হিম হয়ে যায়। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় ট্যাংরা কাণ্ড রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করে মানুষের মনে। নিজের হাতে বৌদি, বউ নিজের কন্যা সন্তানকে খুন করেন বাড়ির ছোট ছেলে প্রসুন দে। এরই মাঝে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে উত্তরপ্রদেশে এক মা নিজের তিন সন্তানকে কুয়োয় ফেলে মেরে ফেলার ঘটনাও ভয় ধরায়।

কিছুদিন আগে নিজের বাবার আক্রোশের শিকার হয় এক কন্যা শিশু। বাবার কথা না শুনে প্রতিবেশীর বাড়িতে চলে গিয়েছিল পাঁচ বছরের শিশুকন্যা। আর এই অপরাধে নিজের মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ওই ব্যক্তি। ‌আর এবার নিজের মায়ের হাতে খুন হল এক পনেরো বছরের ছেলে।

READ MORE:  উদ্দেশ্য ছিল মহাকুম্ভে গিয়ে পুণ্য স্নান, পথেই বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু ১০ পুণ্যার্থীর

কী অপরাধ? মায়ের সাজ পোশাক নিয়ে নিত্য কটুক্তি করত সে‌। ব্যঙ্গ করত। তা সহ্য করতে পারেননি ওই মহিলা। শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন নিজের ছেলেকে। যদিও সেটাকে আত্মহত্যার রূপ দিয়েছেন তিনি।‌ জানা গেছে, ১৫ বছরের অভ্যুদয় জৈনকে গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি তার বাড়ির বাথরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, প্রথমে অবশ্য অভ্যুদয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যা‌ই বলেন তার মা। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে শ্বাসরোধ করে মৃত্যুর ঘটনা। জানা গেছে, অভ্যুদয় নাকি প্রায়ই নিজের মাকে তার পোশাক এবং টিপ করা নিয়ে ব্যঙ্গ করত। আর বেশিদিন তা সহ্য করতে পারেননি ওই মহিলা। রাগে মেরেই ফেলেন ছেলেকে।

READ MORE:  তাপমাত্রায় বড় রকমের হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা, বড়দিনে কি বৃষ্টি? জেনে নিন আগামী কয়েক দিনের আবহাওয়ার আপডেট

অভ্যুদয়ের বাবা অনুপম জৈন একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত। এবং মা অলকা জৈন গৃহবধূ। যদিও অভ্যুদয়ের মায়ের কথায়, ঘটনার দিন অভ্যুদয় বাড়িতে একা ছিলেন। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে যখন তিনি ফিরে আসেন, তখন তিনি দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। বারবার ডাকলেও ছেলে দরজা খোলেনি। এরপর তিনি বাড়িওয়ালার থেকে একটি অতিরিক্ত চাবি নিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখেন তার ছেলে ঘরে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে, তার পা বাঁধা এবং গলায় ওড়না জড়ানো।

READ MORE:  Club Cricket: ১৬ বছরের পুত্রের সঙ্গে ফের মাঠে দ্রাবিড়, কত রান করলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ? | Rahul Dravid Played Club Cricket

এরপর সবাই মিলে তাকে দ্রুত জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু অভ্যুদয়ের গলার চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। বাড়তে থাকে জেরা।এরপর কলোনির সিসিটিভি ফুটেজ, মৃত ছেলের মায়ের কল রেকর্ড, প্রতিবেশী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং অপরাধস্থল থেকে ফরেনসিক প্রমাণের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করার পর পুলিশের সন্দেহ গিয়ে পড়ে অলকা জৈনের ওপর। যদিও এখনও তিনি নিজের অপরাধ কবুল করেননি। তিনি বলে চলেছেন তার ছেলে আত্মহত্যাই করেছে। এই হাড় হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায়।

 

Scroll to Top