মৃতদের ১০ লক্ষ, ক্ষতিগ্রস্তদের আবাসে বাড়ি! ইমাম, মোয়াজ্জেমদের সঙ্গে বৈঠকে ঘোষণা মমতার
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ওয়াকফ সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে অসন্তোষের ঢেউ। রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলমান সমাজের একাংশের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে বিক্ষোভের আগুন। তাইতো এই আইনের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে আন্দোলন। আর এই আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Incident)। অশান্তি ছড়িয়েছে সুতি, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ এবং ফরাক্কায়। আর এই আবহেই নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল যে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্মেলন করতে চলেছেন। সেই মতে শুরু হয়েছে বৈঠক।
শাসক শিবিরের একাংশ তো বটেই তার সঙ্গে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক মহলও মনে করেছিল যে এই সম্মেলন থেকে মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘু সমাজের উদ্দেশে সামগ্রিক ভাবে ‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ দিতে পারেন। আর সেই কল্পনায় এবার বাস্তবের রূপ নিল। রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে বুধবারা নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে ইমাম এবং মোয়াজ্জেমদের নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এদিন তিনি প্রথমে ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে বলেন, “কেন্দ্র যে আইনগুলো চালু করেছে প্রয়োজনে, সেই আইনগুলো আবার বাতিল করা হবে, শুধু আপনারা শান্ত থাকুন, দয়া করে শান্তি বজায় রাখুন।”
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি ইন্ডোরে মোয়াজ্জেন, ইমামদের ওয়াকফ মিটিংয়ে একাধিক ধর্মের প্রতিনিধিদের পাশে নিয়ে আরও বলেন যে, “বাংলায় আন্দোলন করে কোনো লাভ নেই, আন্দোলনটা দিল্লিতে গিয়ে করুন, প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতির অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন। আমি তো আপনাদের পক্ষে। সবর্ধমের পক্ষে। আন্দোলনের জন্য ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিদেরও আবেদন করব।” মমতার আরও অভিযোগ, ”বিজেপি এজেন্সির মাধ্যমে বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে অশান্তি তৈরি করা হচ্ছে। রামনবমীতে পরিকল্পনা ছিল দাঙ্গা বাঁধানোর।কিন্তু আপনারা সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে শান্তি বজায় রেখেছেন।”
এরপরেই মুর্শিদাবাদের হিংসার কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং হিংসায় আক্রান্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করলেন তিনি। তিনি মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। অন্যদিকে যাদের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে তাঁদের বাংলার আবাস প্রকল্পে বাড়ি করে দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন মমতা। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কোনও সম্প্রদায় হিসাবে দেখি না, মানুষ হিসাবে দেখি। যারা মারা গিয়েছে তাঁদের প্রত্যেকের পরিবারকে আমাদের সরকার ১০ লক্ষ টাকা করে দিয়ে সাহায্য করবে। যাঁদের দোকান নষ্ট হয়েছে তার হিসাব-নিকেশ করে মুখ্যসচিব দায়িত্ব নিয়ে কাজটা করবেন। আপনাদের কোনো চিন্তা করতে হবে না।” অন্যদিকে এদিন বিএসএফ-কে বারবার কাঠগড়ায় তুলতে দেখা যায় মমতাকে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
সহেলি মিত্র, কলকাতা: দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বিরাট বদল ঘটতে চলেছে। আর এই বদল ঘটবে আগামী…
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) স্পষ্ট করেছে যে পুরনো…
হরিয়ানভি সঙ্গীতের মঞ্চে আবারও আলোচনায় এলেন আরসি উপাধ্যায়। তার সাম্প্রতিক নাচের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ঘনিষ্ঠ সহকারি হারিয়েছেন প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মাত্র…
বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গত মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে একেবারে যত্ন নিয়ে নিজে হাতে গড়েছিলেন ভারতীয়…
মোটোরোলা এবার জি সিরিজের পরবর্তী ফোন Moto G86 লঞ্চ করতে চলেছে। এটি গত বছরের জুনে…
This website uses cookies.