প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছর ডিসেম্বরে লোকসভার সংসদের নিম্নকক্ষে ধ্বনি ভোটে রেলওয়ে (সংশোধনী) বিল পাশ করা হয়েছিল। সেই সময় রেলমন্ত্রী অশ্নিনী বৈষ্ণব ভারতীয় রেল সম্পর্কে বলেন, বিল নিয়ে বিরোধীদের একাংশ নানা ভুল তথ্য ছড়িয়ে বেরিয়েছে। জানা গিয়েছে এই রেলওয়ে (সংশোধনী) বিল (Railways Amendment Bill 2024) রেলকে বেসরকারিকরণের জন্য তৈরি হয়নি। আদতে রেলের পরিষেবা আরও ভালো করতেই রেল আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। এই আবহে গতকাল অর্থাৎ সোমবার বিরোধীদের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে রাজ্যসভায় ‘সংশোধিত রেলওয়েজ বিল, ২০২৪’ ধ্বনিভোটে পাশ করিয়ে নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
রাজ্যসভায় পাশ সংশোধিত রেলওয়েজ বিল, ২০২৪
এই বিল পাশ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, রেলের পর্ষদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া এবং জোনাল রেলকে অর্থ খরচ করার প্রশ্নে আরও বেশি স্বাধীনতা প্রদানের মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করতে দুটি আইন যুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি হল ১৯০৫ এবং অপরটি হল ১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইন। এই দুটি আইন যুক্ত করে ওই সংশোধনী বিল (২০২৪) আনা হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিরোধীদের কটূক্তি থামছে না। অনেক বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারের আসল লক্ষ্য হল, বেসরকারিকরণ। তবে সেটা একবারে করা হবে না। জনগণের সামনে ভালো থাকার জন্য তাই রেলকে একাধিক কর্পোরেশনে ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ধাপে ধীরে ধীরে বাজারে শেয়ার হিসেবে বিক্রি করে দিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ করবে। যদিও গতকাল এই বিষয়টি নিজেই খোলসা করেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
কী বলছেন কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী?
গত ডিসেম্বরে লোকসভা বিল পাশের সময়ই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিরোধীদের এমন আশঙ্কার কথা খারিজ করেছিলেন। গতকাল অর্থাৎ সোমবারও একই দাবি করেছেন তিনি। এদিন অশ্বিনী বৈষ্ণব বিরোধী দলগুলির উদ্দেশ্যে আরও বলেন যে, “সংবিধান নিয়ে গুজব ছডানো ব্যর্থ হয়েছে বিরোধীদের। তাই আমার অনুরোধ, দয়া করে মানুষকে ভুল পথে চালিত করবেন না। আসুন একসঙ্গে কাজ করে ভারতীয় রেলকে আধুনিক তথা উন্নত করে তুলি।” জানা গিয়েছে, রেল সংশোধনী এই বিলে কেন্দ্রীয় সরকার তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে সেগুলি হল রেলবোর্ডের স্বাধীন দায়িত্ব, পরিষেবা ক্ষেত্রে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং রেল পরিষেবাকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা। পাশাপাশি কর্মী নিয়োগ নিয়েও কেন্দ্রীয় রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, ”নিয়োগের ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। প্রায় ১.১৪ লক্ষ শূন্যপদে নিয়োগ হতে চলেছে।”
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
তবে রেলের দায়িত্ব সরকারের হাতে থাকলেও খাবার পরিবেশন অর্থাৎ কেটারিং বিভাগ, স্বচ্ছতা কিংবা স্টেশন নির্মাণের মতো বেশ কিছু বিষয় বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে রেল মন্ত্রকের এই দাবি মেনে নিতে পারেনি কংগ্রেস সাংসদ বিবেক তাঙ্খা। তিনি অভিযোগ করেছেন রেলের সুরক্ষা, যাত্রী পরিষেবা, স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা, বাজেটে স্বচ্ছ্বতার অভাব ইত্যাদি বিষয় থেকে দায় এড়াতে মোদী সরকার রেলের বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে চাইছে বলে রাজ্যসভায় সোমবার অভিযোগ করেন। যদিও পড়ে এই নিয়ে নানা বাক্যালাপ হয়। তবে এখনই এই আইন শুরু হচ্ছে না। আগে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিলবে তারপরেই বদলে যাবে রেলের আইন।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।