রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) ইস্যু নিয়ে রাজ্যে অনেক আলোচনা এবং উত্তেজনা চলছে। রাজ্য সরকার সম্প্রতি ডিএ বৃদ্ধি করলেও, অনেক কর্মচারী এই পরিমাণ নিয়ে সন্তুষ্ট নন।
এদিকে, এই মাসেই আদালতে ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে এবং সকলেই অধীর আগ্রহে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছেন। এর মধ্যেই, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র মধ্যে ব্যবধান কমানো হবে।
এমন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে বর্তমান সরকার যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল, তখন রাজ্যের কর্মচারীদের জন্য ডিএ পরিস্থিতির উন্নতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। তিনি উল্লেখ করেন যে পূর্ববর্তী সরকার সপ্তম বেতন কমিশন বাস্তবায়ন করেনি এবং ডিএতে কম ইনক্রিমেন্ট দিয়েছে।
তবে, তাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে, তারা ২.৫৭ ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর চালু করেছে, যা ডিএ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। ২০২২ সাল থেকে রাজ্য কর্মচারীদের জন্য ডিএ পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখানে একটি ব্রেকডাউন দেওয়া হল:
- ২০২২: ৫% ডিএ বৃদ্ধি
- ২০২৩: ১২% ডিএ বৃদ্ধি
- ২০২৪: আরও ৫% ডিএ বৃদ্ধি
বর্তমানে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে ৫৩% ডিএ পাচ্ছেন এবং আশা করা হচ্ছে যে তাঁদের ডিএ শীঘ্রই বৃদ্ধি পাবে। প্রতিবেদনগুলি থেকে জানা যাচ্ছে যে আসন্ন নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকার তার কর্মীদের জন্য ডিএ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। তদুপরি, কেন্দ্রীয় সরকার অষ্টম বেতন কমিশন চালু করার ঘোষণা দিয়েছে, যা পরের বছর কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির এ খবর ত্রিপুরার। ত্রিপুরায় দ্বিতীয় সরকারের বার্ষিকীতে, মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের আশ্বস্ত করেছেন যে ডিএ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে তাঁদের সরকারের সময়কালে, রাজ্যের কর্মচারীরা ডিএতে ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর যেহেতু ডিএ মামলাটি আদালতে শুনানির জন্য নির্ধারিত, তাই অনেক কর্মচারী আশা করছেন যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং অদূর ভবিষ্যতে আরও ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হবে।