প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কাজকর্ম এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মিটিং সবটাই হয়ে থাকে নবান্নের সভাঘরে। তাই নবান্ন ও তার সংলগ্ন এলাকাকে ভিভিআইপি জোন বা ভেরি ভেরি ইম্পর্টেন্ট জোন হিসেবে বলা হয়ে থাকে। কারণ এখানে মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট সদস্যরা যেমন বসেন তেমন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বসেন। পাশাপাশি সরকারি অফিসার থেকে আমলা সকলেই নবান্নে বসেন। কিন্তু এবার নবান্নের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা উঠল হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
নবান্নের নিরাপত্তা বলয় নিয়ে প্রশ্ন
সূত্রের খবর, নবান্নের ১০০ মিটারের নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে একটি নির্মাণকাজ চলছিল। কিন্তু সেই নির্মানকার্য রীতিমত আটকে দেয় রাজ্য পুলিশ। কারণ হিসেবে বলা হয় নবান্ন সংলগ্ন এলাকা ভিভিআইপি জোন। সেখানে ১৪৪ ধারা থাকে। তাই নির্মাণ কাজ করতে গেলে অনুমতি নিতে হয়। এদিকে নির্মাণ কাজ আটকে যেতেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গোটা বিষয়টি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে দ্বারস্থ হন। যা নিয়ে রাজ্য পুলিশকে হাইকোর্টের মুখে পড়তে হয়।
রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট
গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে নির্মাণ কার্যের মামলা উঠল বিচারপতি কৌশিক চন্দ এর বেঞ্চে। সেখানে রাজ্য পুলিশকে প্রশ্ন করে যে নবান্নের নিরাপত্তা জোনের বাইরেও কেন পুলিশ হস্তক্ষেপ করল? যেখানে বলাই হয়েছে নবান্নের ১০০ মিটার পর্যন্ত নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। তাই এবার কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার কাছে নবান্ন ভবন ছাড়া আর কোন এলাকা নিরাপত্তা জোনের মধ্যে পড়ে, সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট তলব করলেন বিচারপতি। পাশাপাশি এদিন মামলাকারীর প্রশ্ন ছিল, মানুষ কি পুলিশ রাজ্যে বাস করছে? এই কথা শুনে বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ, ‘প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্ন ভবন ছাড়া আর কোন এলাকা সিকিউরিটি জোনের মধ্যে পড়ে সেটার নোটিফিকেশন দেখান। এটা দেখতে পেলে খুশি হবো।’
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
যদিও তেমন কোনও বিশেষ তথ্য তুলে ধরতে পারেনি রাজ্যের আইনজীবী। তাই সম্পূর্ণ তথ্য জোগাড় করতে অনেক সময় চাওয়া হয়। অবশ্য সেটারও অনুমতি মেলে বলে আদালত সূত্রে খবর। কিন্তু বিচারপতি কৌশিক চন্দের প্রশ্ন, ‘রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় নবান্নের নিরাপত্তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট সচেতন হলেও রাজ্য নিজে কি সচেতন? নবান্নের নিরাপত্তা জোনের মধ্যে যে এলাকা নেই সেখানে পুলিশ কেন পদক্ষেপ করছে?’ প্রশ্নের মুখে পড়লেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।