সরকার দিচ্ছে ৫ লক্ষ টাকার বীমা! তবে আয়ুষ্মান ভারতে এই চিকিৎসা পাবেন না
২০১৮ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর গোটা দেশে চালু হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন্য আরোগ্য যোজনা (AB-PMJAY)। ইতিমধ্যেই দেশের ৩৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই প্রকল্প চলছে।
সম্প্রতি দিল্লি সরকারের সঙ্গে বোঝাপড়ার পর রাজধানীতেও চালু করা হয়েছে এই জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। তবে যারা এই বীমার উপর ভরসা করেছেন, তাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা রয়েছে। তা হল- এই প্রকল্পে সবরকম চিকিৎসা কভার করা যায় না।
এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই বীমায় বছরে একটি পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বীমা পায়। এই সুবিধা দেওয়া হয় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের পাশাপাশি ৭০ বছরের ঊর্ধ্ব নাগরিকদের। তবে এই বীমা কভারেজ মূলত সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি হসপিটালাইজেশনের জন্যই দেওয়া হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন চিকিৎসা এই প্রকল্পে কভার হয় না।
যেখানে নিয়মিত ডাক্তার দেখানো হয়, পরীক্ষা করানো হয় বা সাধারণ ওষুধপত্র দেওয়া হয়, সেখানকার চিকিৎসা এই বীমার আওতায় পড়ে না।
যদি কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয় শুধুমাত্র পরীক্ষা করার জন্য, তবে তার কোন খরচ সরকার বহন করবে না। এমনকি ভিটামিন, টনিক বা সাপ্লিমেন্টের খরচও দেওয়া হয় না সরকারের তরফ থেকে, যদি না তা চিকিৎসার অংশ হিসেবে লেখা থাকে।
সাধারণত দাঁতের চিকিৎসা, ফিলিং, রুট ক্যানাল, ইমপ্ল্যান্ট সব চিকিৎসাই এই প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে দাঁতের চিকিৎসার কভার হয়, যদি সেটি আঘাত, টিউমার বা সিস্ট থেকে হয়ে থাকে, আর হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।
IVF বা অন্যান্য অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজির রোগ এই প্রকল্পে কভার হয় না। যদি তা স্পষ্টভাবে ন্যাশনাল হেলথ বেনিফিট প্যাকেজে উল্লেখ করা থাকে, তবে কভার হয়।
যে সমস্ত টিকাকরণ জাতীয় কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত নয়, সেগুলির সুবিধা এই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে পাওয়া যায় না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক মনে করছে, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প মূলত জরুরি এবং গুরুতর চিকিৎসা সামাল দেওয়ার জন্যই তৈরি করা। তাই রুটিন চেকআপ এবং ইচ্ছাকৃত চিকিৎসা এই প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, যাতে প্রকৃত গরিব এবং বিপন্ন মানুষরা সরাসরি উপকৃত হয়।
এখনো পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, এই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে যে রোগের সুবিধাগুলি পাওয়া যাচ্ছে তা হল-
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে আপনাকে ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রথমে ই-কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। প্রথমে পোর্টালে গিয়ে মোবাইল নাম্বার দিয়ে ওটিপি যাচাই করতে হবে। এরপর নিজের রাজ্য নির্বাচন করে রেশন কার্ড বা পরিচয়পত্র দিলেই এই কার্ড ডাউনলোড হয়ে যাবে।
তবে মনে রাখবেন, আধার কার্ড, রেশন কার্ড বা ভোটার কার্ড, বসবাসের প্রমাণপত্র, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস, আয় এবং জাতিগত সংশাপত্র এই কার্ড বানানোর জন্য প্রয়োজন হয়।
অপ্পো সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, তাদের A-সিরিজের নতুন ও সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন Oppo A5 Pro 5G…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ৩ এপ্রিল রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিশ্বজুড়ে যেমন একদিকে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা চলছে, অন্যদিকে চলছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। আর এই…
ভারতের মোবাইল গ্রাহকদের জন্য বড়সড় দুঃসংবাদ আসতে চলেছে। দেশের শীর্ষ টেলিকম সংস্থাগুলি—জিও (Jio), এয়ারটেল (Airtel)…
সহেলি মিত্র, কলকাতা: কথা রাখল পূর্ব রেল। বিগত কয়েকদিন ধরে লোকাল ট্রেনগুলিতে মহিলা কামরার সংখ্যা…
প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা, ব্যাঙ্কের সুযোগ-সুবিধা, টেলিকম সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে…
This website uses cookies.