পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হল অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য, যারা সরকারি সুবিধা পেতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন।
সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে নয়া উদ্যোগ
২০০১ সাল থেকে, পশ্চিমবঙ্গ অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সহায়তা করার জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু করেছে। তবে, এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েছিল। ২০১১ সালে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর, সরকার এই কর্মসূচিগুলিকে একীভূত করে একটি বিনামূল্যের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করে।
এই প্রকল্পের অধীনে, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা ৬০ বছর বয়সে এককালীন ২,৭২,০০০ টাকা ভাতা পান, যদি তারা ১৮ বছর বয়সে এই প্রকল্পে যোগদান করেন। বর্তমানে, প্রায় ১.৭৬ কোটি মানুষ এই প্রকল্প থেকে উপকৃত হচ্ছেন।
প্রথমে, প্রতিটি সুবিধাভোগীকে প্রতি মাসে ২৫ টাকা দিতে হত, বাকি ৩০ টাকা সরকার বহন করত। তবে, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে, সরকার এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ খরচ বহন শুরু করেছে, যা প্রতি মাসে জনপ্রতি ৫৫ টাকা।
তা সত্ত্বেও, সুবিধাভোগীদের তাদের অর্থ সঠিকভাবে জমা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হত। অতীতে, তাদের অফিসে যেতে হত অথবা শ্রমিক সংগঠকদের কাছ থেকে আপডেটের জন্য অপেক্ষা করতে হত, যা সময়সাপেক্ষ এবং অসুবিধাজনক ছিল।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য, রাজ্য সরকার একটি নতুন উদ্যোগ চালু করেছে। এখন থেকে, সুবিধাভোগীরা প্রতি মাসে তাদের মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস পাবেন, যেখানে তাঁদের অর্থ সফলভাবে জমা হয়েছে কিনা তা জানানো হবে। এই পরিষেবাটি কোনও অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই প্রদান করা হবে।
আসন্ন অনলাইন সিস্টেমও
এসএমএস বিজ্ঞপ্তির পাশাপাশি, সরকার সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের জন্য একটি অনলাইন সিস্টেম চালু করার জন্য কাজ করছে। এই সিস্টেমটি চালু হয়ে গেলে, সুবিধাভোগীরা একটি স্পেশ্যাল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তাদের অ্যাকাউন্টের তথ্য অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হবেন। এটি তাদের অর্থপ্রদান ট্র্যাক করা এবং তাদের সুবিধা সম্পর্কে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ দেখতে সহজ করবে।
এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য সুবিধা ব্যবস্থাপনা সহজতর করছে। এসএমএস বিজ্ঞপ্তি পরিষেবা এবং আসন্ন অনলাইন ব্যবস্থা স্বচ্ছতা এবং সুবিধা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যাতে সুবিধাভোগীরা তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদান সম্পর্কে সহজেই তথ্য পেতে পারেন।