২৫ হাইকোর্টের ৭৬৯ বিচারকের মধ্যে মাত্র ৯৫ জনই দিয়েছেন নিজের সম্পত্তির হিসেব! রিপোর্ট
প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতিদের সম্পর্কে কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে যা তথ্য পাওয়া যায় তার বাইরে তাঁদের সম্পর্কে প্রায় কোনও তথ্যই পাওয়া সম্ভব নয় সাধারণ মানুষের পক্ষে। কিন্তু এবার তাঁদের সম্পর্কের আরও বড় তথ্য পেতে চলেছে সাধারণ মানুষ। আর সেটি হল বিচারপতিদের সম্পত্তির পরিমাণ। আর এমনই ব্যবস্থা করল সুপ্রিম কোর্ট। আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারপতিদের সম্পদের হিসেবে তথ্য জমা দেওয়ার নিয়ম ছিল। তবে পরে এই আইন অসাংবিধানিক বলে বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার নগদ কাণ্ডের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিল বিচার ব্যবস্থা।
গত ১৪ মার্চ, দোলের রাতে আগুন লেগেছিল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বাসভবন চত্বরে অবস্থিত এক আউটহাউসে। সেখান থেকে পোড়া বান্ডিল বান্ডিল নগদ অর্থ পেয়েছিল দমকল কর্মীরা বলে অভিযোগ। তার পর খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি বর্মাকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছে। তা নিয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের আইনজীবীদের মধ্যে অসন্তোষও দেখা গিয়েছিল। এমনকি বিচারপতি বর্মার ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় সংসদে বিচারপতিদের সম্পদের হিসেব প্রকাশ্যে আনার আইনের প্রসঙ্গ তুলেছিল। উপরাষ্ট্রপতি বলেন, এই আইন প্রয়োগ করা হলে সম্ভবত এই ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হতে হতো না।
এরপরেই গত ১ এপ্রিল শীর্ষ আদালতে ‘ফুল-কোর্ট’ (সব বিচারপতির উপস্থিতিতে) বৈঠক হয়। এবং ওই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এখন থেকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে বিচারপতিদের সম্পদের তথ্য তুলে ধরা হবে। ‘নগদকাণ্ড’ ঘিরে বিতর্কের আবহেই এ বার বিচারব্যবস্থার প্রতি জনতার ভরসা বজায় রাখতে পদক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ৩৩ জন বিচারপতি তাদের সম্পদ জনসমক্ষে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু উচ্চ আদালতগুলিতে এখনও অনেক বিচারপতি এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ। বিচারপতিদের সম্পত্তির পরিমাণ প্রকাশ্যে আনার বিষয়ে কয়েকজন বিচারক সিদ্ধান্তে একমত না হলেও, বেশ কয়েকজন আবার এই সিদ্ধান্তে ইতিবাচক সংকেত দিয়েছে।
TV9 হিন্দির রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ২৫টি উচ্চ আদালতে বর্তমানে কর্মরত বিচারক হলেন ৭৬৯ জন। যার মধ্যে মাত্র ৯৫ জন অর্থাৎ মাত্র ১২.৩৫ শতাংশ বিচারপতি তাদের সম্পদ এবং দায় প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে বিচারপতিদের সম্পদ ঘোষণার ক্ষেত্রে কিছু হাইকোর্ট ভালো পারফর্ম করেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কেরালা এবং হিমাচল প্রদেশ। রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে কেরালা হাইকোর্টের ৪৪ জন বিচারকের মধ্যে ৪১ জন তাদের সম্পদ ঘোষণা করেছেন। এবং হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টে ১২ জন বিচারকের মধ্যে ১১ জন তাদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করেছেন। তবে, সব হাইকোর্ট তথ্য প্রেরণের ক্ষেত্রে গড়িমসি করছে। যার মধ্যে অন্যতম হল দিল্লি হাইকোর্ট। জানা গিয়েছে দিল্লি হাইকোর্টের আর্কাইভে ৬৪ জন প্রাক্তন বিচারকের সম্পদের ঘোষণার তালিকা রয়েছে, যাদের অনেকেই অবসর নিয়েছেন, বদলি হয়েছেন, অথবা সুপ্রিম কোর্টে উন্নীত হয়েছেন। অর্থাৎ বর্তমান বিচারকদের তুলনায় প্রাক্তন বিচারকদের সম্পর্কে বেশি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভারতের অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো, বিচারকদের তাদের সম্পদ জনসমক্ষে প্রকাশ করার এখনও পর্যন্ত কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম কমিটি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের সকল বিচারকের জন্য বার্ষিক সম্পদ ঘোষণা বাধ্যতামূলক করার জন্য এবং আইনী পরিবর্তন আনার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে। কারণ কমিটি বিশ্বাস যে এই আইনের ফলে বিচার বিভাগে স্বচ্ছতা এবং মানুষের বিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। তবে, এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: নিত্যযাত্রীদের আবারো চরম ভোগান্তির মধ্যে ফেলে দিলে পূর্ব রেল। হ্যাঁ, ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায়…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এমন একটা সময় ছিল, যখন মানুষ প্রকৃতিতেই দিন কাটাতো। কিন্তু আজকের দিনে…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বর্তমানে মূল্যবৃদ্ধির বাজারে দিনের পর দিন যেন জিনিস পত্রের দাম লাগামছাড়া ভাবে…
প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মার্চের শুরুতেই যে ভয়াবহ গরমের সম্মুখীন হয়েছিল গোটা রাজ্য, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে…
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি Airtel তাদের গ্রাহকদের সুবিধার্থে নতুন একটি পরিষেবা চালু করেছে, যেখানে…
আপনি কি নতুন ল্যাপটপ খোঁজ করছেন? তাহলে আপনার জন্য দুর্দান্ত অফার নিয়ে হাজির হয়েছে ই-কমার্স…
This website uses cookies.