৪ ঘণ্টায় সারবে ৯০ শতাংশ ক্ষত, তৈরি হবে নতুন ত্বক! আর্টিফিশিয়াল স্কিন টেকনোলজিতে বিপ্লব

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: মাত্র 4 ঘণ্টায় তৈরি হবে নতুন ত্বক! পুরোনো ক্ষত সারিয়ে সেখানে চামড়ার নতুন আস্তরণ তৈরি করবে জেল! হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই জেল জাতীয় পদার্থ আবিষ্কার করে ফেলেছেন অল্টো ও বেরুথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ক্ষত সারানিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে হাইড্রোজেল (Hydrogel)।


গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন

Join Now

বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হাইড্রোজেল মানব ত্বকের প্রকৃতিকে অনুকরণ করে কৃত্রিমভাবে মাত্র 4 ঘন্টা সময় নিয়ে পুরনো ক্ষতস্থান 90 শতাংশ মুছে পরবর্তীতে সেখানে নতুন ত্বকের আস্তরণ তৈরি করে দেবে। গবেষক সূত্রে খবর, এই হাইড্রোজেল ব্যবহার করে মাত্র 24 ঘণ্টায় পুরনো ক্ষত সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই হাইড্রোজেলই মেডিসিন ও আর্টিফিশিয়াল স্কিন টেকনোলজির যুগে বিরাট পরিবর্তন আনবে।

READ MORE:  লাইনে কাজ, ৪ দিন বন্ধ দিঘা যাতায়াতের সড়ক! নোটিশ দক্ষিণ পূর্ব রেলের, বিকল্প রাস্তা কী?

হাইড্রোজেলটির বৈশিষ্ট্য

বেশকিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, মানব ত্বকের নমনীয় ও টেকসই অংশের মতোই এই জেলও দ্রুততার সাথে ক্ষত সারিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে। গবেষকরা বলছেন, মানুষের শরীরে যেমন ইমিউনিটি সিস্টেম ও রিকভারি ক্ষমতা থাকে ঠিক একই ভাবে এই হাইড্রোজেলেও রয়েছে সমগোত্রীয় নমুনা। তবে মূল সমস্যার সমাধান হয়েছে ন্যানোশিট এনহান্সড পলিমার এনট্যাঙ্গলমেন্টের দৌলতে।


বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে

Join Now

গবেষকদের ক্ষত সারানিয়া ঔষধ, বলা চলে এই মোক্ষম দাওয়াই হাইড্রোজেলটির আবিষ্কার প্রথম প্রকাশিত হয় বিখ্যাত জার্নাল নেচার মেটিরিয়ালিসের পৃষ্টায়। কেমন এর বৈশিষ্ট্য? বিশেষজ্ঞদের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই হাইড্রোজেল সাধারণত খুব নরম প্রকৃতির।

READ MORE:  পৃথিবীর থেকে ৫ গুণ বড়! মহাকাশে হিরের গ্রহ অবিস্কার NASA-র বিজ্ঞানীদের

সূত্র বলছে, এই নতুন উপাদানটি অত্যন্ত সুগঠিত যেখানে ন্যানোশিটগুলির ভেতরে পলিমার এনট্যাঙ্গল হয়ে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বিশেষ গঠনের কারণে হাইড্রোজেলের শক্তি ক্রমশ বেড়েছে। এবং একটা পর্যায়ে এসে তা বহু পুরনো ক্ষত সারাতেও মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে।

অবশ্যই পড়ুন: ভেস্তে গেল ম্যাচ, আদৌ RCB-র বিরুদ্ধে মাঠে নামা হবে? IPL শুরুর আগেই চিন্তায় KKR

কোন ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে কাজ করবে এই হাইড্রোজেল?

গবেষকদের একটা বড় অংশ বলছেন, ক্ষত নিরাময়, ড্রাগ ডেলিভারি প্রস্থেটিক্স ও সফ্ট রোবোটিক্স প্রক্রিয়ায় কাজে লাগানো হতে পারে এই জেল। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট দাবি করছে, চিকিৎসা প্রক্রিয়াকে আরও উন্নত করতে আগামী দিনে হাইড্রোজেলের ক্ষত সারানোর ক্ষমতাকে কাজে লাগাবেন গবেষকরা। মনে করা হচ্ছে, ক্ষত সারানোর এই বিরাট ক্ষমতা পরবর্তীতে X ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে।

READ MORE:  ‘মাত্র ২ ঘণ্টায় কলকাতা টু কাশ্মীর!’ IIT-র হাত ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাইপারলুপ ভারতে

খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মূলত আগুনে পুড়ে যাওয়ার রোগী, অস্ত্রোপচার হওয়া রোগী ও শরীরে গুরুতর আঘাত পাওয়া রোগীদের ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলবে এই হাইড্রোজেল। বলা বাহুল্য, ক্ষত নিরাময়কারী এই মোক্ষম হাইড্রোজেলে জলের উপস্থিতি আছে কিনা বা থাকলেও তা কতটা সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট উত্তর মেলেনি।