সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কখনো কি ভেবে দেখেছেন, একটি কুকুরের দাম ৫০ কোটি টাকা (50 Crores Dog)? হ্যাঁ, বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তি এমনই উদ্ভট দাবি করেছেন। তিনি নাকি বিদেশ থেকে বিশ্বের সবথেকে দামি কুকুর আমদানি করেছেন, যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকা। আর এই চাঞ্চল্যকর দাবিতে রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
তবে হ্যাঁ, এই দাবি আদতে ছিল এক বিরাট প্রতারণা। বিষয়টি সবার নজরে আসতেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) তার বাড়িতে হানা দেয়। আর সেখানেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকার তথ্য।
৫০ কোটির কুকুর, কিন্তু এত টাকা এল কোথা থেকে?
গত ১৭ই এপ্রিল, বৃহস্পতিবারের ঘটনা। বেঙ্গালুরুর ওই ব্যক্তির বাড়িতে সন্দেহের বশে ED অভিযান চালায়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা আইন (FEMA) লঙ্ঘনের। কারণ ওই ব্যক্তি দাবি করেছিলেন যে, তিনি একটি Caucasian Shepherd এবং Wolf-এর সংমিশ্রণে তৈরি বিরল প্রজাতির কুকুর বিদেশ থেকে ভারতে আমদানি করেছেন, যার দাম ৫০ কোটি টাকা। তবে ED তদন্তে জানতে পারে, দাবিটি সম্পূর্ণ ভুয়ো।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কুকুরের রহস্যের পিছনে কি ছিল?
ED-র সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে একজন বড় কুকুর ব্রিডার হিসাবে দাবি করতেন। বাস্তবে তার আর্থিক অবস্থা খুবই দুর্বল। জানলে অবাক হবেন, যখন তাকে কুকুরটি দেখাতে বলা হয়, তখন তিনি জানান যে, কুকুরটি তার এক বন্ধুর কাছে রয়েছে।
এরপর সন্দেহ বাড়তেই তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর মোড়। আসলে যে কুকুরদের ছবি ভাইরাল হয়েছে, সেটা তার এক প্রতিবেশীর, যার দাম ১ লক্ষ টাকারও কম। আর এই ঘটনার পরই স্পষ্ট হয় যে, পুরো ঘটনাটি সাজানো এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় খ্যাতি পাওয়ার জন্যই এই অভিনয়।
ভাইরাল হওয়ার পিছনে আসল উদ্দেশ্য কী ছিল?
বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল মানুষ বিভিন্ন ভুয়ো দাবি করে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করে। আর এই ঘটনাটি তারই জলজ্যান্ত উদাহরণ। অভিযুক্ত ব্যক্তি ভুয়ো দাবি করে বহু মানুষের নজর কেরেছিল। কিন্তু বাস্তবে তিনি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছে। তবে হ্যাঁ, ED এখনো পর্যন্ত FEMA-র অধীনে কোন মামলা দায়ের করেনি। কারণ এই ঘটনায় প্রকৃত অর্থে কোন বিদেশী মুদ্রার লেনদেন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টিকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।