শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: ঈদের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পেঁয়াজের দাম (Onion Price) নিয়ে। শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির উপর আরোপিত ২০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের ফলে একদিকে যেমন কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হবেন, ঠিক তেমনই উপকৃত হবেন সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মানুষ। এমনিতে প্রায়শই আলু-পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে ওঠানামা করে। এহেন পরিস্থিতিতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার ফলে বাজারে কী প্রভাব পড়ে সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
পেঁয়াজ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সরকারের
যাইহোক, এই ফি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে আরোপ করা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত ১ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে। ভোক্তা বিষয়ক বিভাগের অনুরোধে, রাজস্ব বিভাগ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। অভ্যন্তরীণ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে ৩ মে, ২০২৪ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ মাসের জন্য রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিল। এই সময়কালে, রপ্তানি শুল্ক, ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (MEP) এবং রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মতো নীতিগুলি বাস্তবায়িত হয়েছিল।
তবে, এই বিধিনিষেধ সত্ত্বেও, ২০২৩-২৪ সালে মোট ১৭.১৭ লক্ষ টন এবং ২০২৪-২৫ সালে (১৮ মার্চ পর্যন্ত) ১১.৬৫ লক্ষ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ০.৭২ লক্ষ টন, যা ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বেড়ে ১.৮৫ লক্ষ টনে দাঁড়িয়েছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কী বলছে সরকার?
সরকার বলেছে, “এই সিদ্ধান্ত কৃষকদের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করা এবং ভোক্তাদের কাছে পেঁয়াজের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে। রবি ফসলের ভালো আগমনের ফলে মন্ডি এবং খুচরা মূল্য হ্রাস পেয়েছে। যদিও বর্তমান মন্ডির দাম পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের স্তরের উপরে, সর্বভারতীয় গড় মডেল মূল্য ৩৯% হ্রাস পেয়েছে। একইভাবে, গত এক মাসে সর্বভারতীয় গড় খুচরা মূল্য ১০% হ্রাস পেয়েছে।”
পেঁয়াজের দাম কমছে
সারা ভারতে গড় মডেলের দাম ৩৯% কমেছে। গত এক মাসে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ১০% কমেছে। মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁও এবং পিম্পলগাঁওয়ের মতো প্রধান বাজারগুলিতে পেঁয়াজের আগমন বেড়েছে। কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিভাগের অনুমান অনুসারে, এই বছর রবি মাসে পেঁয়াজের উৎপাদন হবে ২২৭ লক্ষ মেট্রিক টন, যা গত বছরের ১৯২ লক্ষ টনের তুলনায় ১৮% বেশি। ভারতের মোট উৎপাদনের ৭০-৭৫% রবি মাসে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, যা অক্টোবর-নভেম্বরে খরিফ ফসল না আসা পর্যন্ত দাম স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। খাদ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, এ বছর উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে আগামী মাসগুলিতে বাজার মূল্য আরও কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।