সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: অন্ধ্রপ্রদেশের পেনুকোন্ডা শহরে অবস্থিত কিয়া ইন্ডিয়ার (Kia India) গাড়ি নির্মাণ প্ল্যান্টে ঘটেছে এক অবিশ্বাস্য চুরি। হ্যাঁ, গত ৫ বছরে প্রায় ৯০০টি ইঞ্জিন চুরি হয়েছে। কিন্তু এতদিন ধরে কোম্পানির টনক নড়েনি। আর গত এক বছরের পূর্ণাঙ্গ অডিটে ব্যাপারটি সামনে আসায় ঘটনার তিন সপ্তাহ পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে KIA কর্তৃপক্ষ। আর এই রহস্যজনক চুরির কান্ড বিভিন্ন রকম প্রশ্ন সামনে আনছে। এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, এত বড় চুরির ঘটনা এতদিন কোম্পানির নজরে আসলো না কেন?
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
২০২০ সাল থেকেই চলছে চুরি
পেনুকোন্ডার সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, এই চুরির সূত্রপাত ২০২০ সালে। তদন্তে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে মোট ৯০০টি ইঞ্জিন চুরি হয়েছে। তবে সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়, এই ইঞ্জিনগুলি কারখানার ভিতর থেকেই এবং কিছু ইঞ্জিন উৎপাদন কেন্দ্রে যাওয়ার পথে গায়েব হয়েছে।
পুলিশ ধারণা করছে, এই কাজ কারোর একার সাধ্য নয়। বরং কিছু বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মীরা জোটবদ্ধভাবেই চুরি করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই কোম্পানির বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
কিয়ার নীরবতায় প্রশ্নের মুখে পড়ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এই ঘটনার পর কিয়া মোটরস কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে। তারা জানিয়েছে, তদন্ত এখনো চলছে। তাই কোম্পানি এখন মুখ খুলবে না। কিয়ার এক প্রতিনিধি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, “আমরা বছরে প্রায় তিন থেকে চার লক্ষ গাড়ি তৈরি করি। তাই ৯০০টি ইঞ্জিন চুরি হওয়ায় উৎপাদনের উপর কোনোরকম প্রভাব পড়েনি।”
তবে এখানে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন আসছে, এই বিপুল পরিমান ইঞ্জিন চুরি হল, অথচ কোম্পানি এতদিন জানতেই পারল না। ফলে মূল প্রশ্নচিহ্নটি আসছে, কোম্পানির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।
বিশেষ তদন্তকারী দল মাঠে নামছে
এই ভয়ানক চুড়ির তদন্ত করতে বিশেষ তদন্তকারী দল ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। কারা এই চুরির সঙ্গে যুক্ত এবং কীভাবে ইঞ্জিনগুলি গায়েব হয়েছে, সবকিছুই কাগজ-কলমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে একটি আন্তর্জাতিক গাড়ি নির্মাতা সংস্থার এমন গাফিলতি নিঃসন্দেহে প্রশ্ন দাঁড় করাচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, পুলিশ তদন্তে কতটা তথ্য পায় এবং এই ইঞ্জিন চুরির পিছনে মূল কান্ডারীদের কত দ্রুত গ্রেফতার করা হয়।