প্রীতি পোদ্দার, মুম্বই: মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্রতম মাস হল এই রমজান মাস। রমজান মাসের শেষে পালিত হল ঈদ-উল-ফিতর। নমাজ পাঠ ও রোজা পালনের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয় এই রমজান মাস। গত ১ মার্চ থেকে ভারতে রমজান মাস শুরু হয়েছে। যা চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। আর এই আবহে এবার থানেতে অবৈধ মসজিদ (Illegal Mosque In Thane) ভাঙার কাজ বন্ধ করার জন্য সম্প্রতি থানে পৌর কর্পোরেশনকে (Thane Municipal Corporation) বোম্বে হাইকোর্ট তিরস্কার করেছে। রমজান মাস শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে ভাঙার কাজ শেষ করার জন্য থানে পৌর কর্পোরেশনকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, কাসারভাদাবলির বোরিভাদে গ্রামে ১৮,০০০ বর্গমিটারেরও বেশি জমির মালিক হল নিউ শ্রী স্বামী সমর্থ বোরিভাদে হাউজিং কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড অবস্থিত। কিন্তু এই বেসরকারি কোম্পানির অভিযোগ ওঠে যে থানে জেলায় তাদের মালিকানাধীন জমিতে একটি মসজিদ এবং একটি প্রার্থনা কক্ষ অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছে। যা নিয়ে বেশ গোলযোগের সৃষ্টি হয়েছে। আবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, গাজী সালাউদ্দিন রহমাতুল্লা হুলে ওরফে পরদেশী বাবা ট্রাস্ট ২০১৩ সাল থেকে আবেদনকারীর ১৮,১২২ বর্গমিটার জমি দখল করে একটি গ্রাউন্ড-প্লাস-ওয়ান কাঠামো তৈরি করেছে যার মধ্যে একটি মসজিদ এবং একটি প্রার্থনা হল রয়েছে।
মসজিদ ভাঙার সময়সীমা বেধে দিল আদালত
এবার সেই অভিযোগের ভিত্তিতে থানে পৌর কর্পোরেশন সিদ্ধান্ত নেয় যে এই অবৈধ মসজিদ ভেঙে ফেলা হবে। গত ২৭ জানুয়ারি থানে পৌরসভা এই মসজিদটিকে অবৈধ নির্মাণ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এবং ঘোষণার পরেই মসজিদ ভাঙার কাজ ভাঙার পরিকল্পনা শুরু করেছে। আর তাতেই ক্ষোভ বেড়ে যায় মুসলিমদের। একেই রমজান মাস তার উপর এইরূপ মসজিদ ভাঙার তোড়জোড় কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না মুসলিম সমাজ। যার ফলে এবার এই বিষয়ে বোম্বে হাইকোর্টে মামলা ওঠে। শেষে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে থানে পৌর কর্পোরেশনকে এইমুহুর্তে অবৈধ মসজিদ ভাঙার কাজ বন্ধ করার জন্য বোম্বে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়। এবং জানিয়ে দেওয়া হয় যে মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার পর ১৪ এপ্রিলের মধ্যে এই অবৈধ মসজিদটি ভেঙে ফেলতে হবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
আসলে গত ২৭ জানুয়ারি অবৈধ মসজিদ ভাঙার নোটিশ পুরসভা জারি করলেও স্থানীয়দের প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়, যার ফলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি মসজিদ ভাঙার ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যায়। এরপর রমজান মাসে মসজিদ ভাঙার কাজ শুরু হলে মামলা ওঠে হাইকোর্টে আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয় বোম্বে হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি এএস গডকরী এবং কমল খাতার বেঞ্চ প্রশ্ন তোলেন যে যখন এত বিশাল পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছিল তখন আবেদনকারীরা বারবার চিঠি লেখা সত্ত্বেও পৌরসভার কর্মকর্তারা এটি প্রতিরোধে কেন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি? তাই এইমুহুর্তে মসজিদ ভাঙ্গার কাজ করা যাবে না। পাশাপাশি বিচারপতিরা এও জানিয়েছে যে, “আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে নাগরিকদের মনে এই ধারণা গেঁথে দেওয়া প্রয়োজন যে রাষ্ট্র কর্তৃক আইন লঙ্ঘন এবং আইন বাস্তবায়নের বিরোধিতা সহ্য করা হবে না।”