প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছরের শেষের দিকে রাজ্য সরকার বাংলা আবাস যোজনা (Awas Yojana Fund) বা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু করেছে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। সিংহভাগ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে টাকা। এমনকি অনেকেই বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কিনে শুরু করে দিয়েছে বাড়ি তৈরি করা। কিন্তু এই আবহেই আরও এক ভয়ংকর অভিযোগ উঠল বাংলা আবাস যোজনার প্রকল্পকে ঘিরে। প্রথম কিস্তি ৬০ হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলেও এখনও বাড়ি তৈরি করতে পারেনি ১১ টি আদিবাসী পরিবার। কারণ শুনে মাথায় হাত সকলের।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বনদপ্তরের জমিতে বাড়ি নির্মাণ বাসিন্দাদের!
সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণার ২ ব্লকের ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রসিয়াড়ী গ্রামে বসবাস করে ১১টি আদিবাসী পরিবার। তাঁদের প্রত্যেকেরই মাটির তৈরী বাড়ি। নেই নিজস্ব কোনও জমি। তাঁরা বসাবাস করেন বনদপ্তরের জমিতে। এদিকে আবাসের প্রথম সমীক্ষার পর তাঁদের নাম আবাসের তালিকায় ওঠে। তাঁদের মধ্যে ৬টি পরিবারের কাছে প্রথম কিস্তির টাকাও চলে আসে। কিন্তু নিজেদের জমি না থাকায় তা তুলে বাড়ি তৈরির কাজে হাত দিতে পারছেন না। এদিকে আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গিয়ে প্রশাসনের তরফে তথ্য যাচাই করা হলে দেখা যায় ওই পরিবারগুলির নিজেদের নামে কোনো জমি নেই। সরকারের জমিতে বসাবাস করেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী বনদপ্তরের জমি সহজে পাট্টা দেওয়া যায় না।
প্রশাসনের দ্বারস্থ উপভোক্তারা
আর এই বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসতেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন আদিবাসী পরিবারগুলো। বিডিওর কাছেও বিষয়টি জানানো হয়। সেখানে ১১ টি পরিবারের কাতর অনুরোধ যাতে প্রশাসনের তরফ থেকে জায়গা দেওয়া হয়। এবং এই পরিবার গুলি সরকারি আবাস যোজনার প্রকল্পের টাকার বাড়ি করতে পারে। তাঁদের মধ্যে উপভোক্তা সনাতন মুর্মু জানিয়েছেন, “ অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে কিন্তু তুলতে পারিনি। বলছে পাট্টা পেলে টাকা পাব। নয়ত নয়। কিন্তু আমরা থাকি বনদফতরের জায়গায়। সেখানেই প্রায় ষোলো বছর ধরে ঘর করে আছি। এখন জায়গা না পেলে আমরা বাড়ি নির্মাণ করতে পারব না। ”
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে পরিবারগুলির জমি সংক্রান্ত ফাইল মহকুমা স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এখন সব আইনি জটিলতা কাটিয়ে পাকা বাড়ি তৈরির আশায় রয়েছে আদিবাসী পরিবারগুলি। অন্যদিকে সেখানকার বিডিও উৎপল পাইক বলেন, “এগারো জনের মধ্যে ছজনের নাম বাংলা আবাস যোজনার লিস্টে নাম আছে। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েও হোল্ড করা হয়েছে। ওরা যেহেতু ফরেস্ট পাট্টা পায়নি তাই টাকা হোল্ড হয়েছে। খুব দ্রুত এই কাজ শেষ হবে।”