অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হাজির, ২ ছাত্রীর আর দেওয়া হল না মাধ্যমিক

মাধ্যমিক পরীক্ষা মানে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। তবে মেদিনীপুরের গড়বেতার দুই ছাত্রীর কাছে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষাই দিন ছিল সবথেকে হতাশার দিন। অ্যাডমিট কার্ড না থাকার কারণে তাদের পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হলো না। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে- এখানে আসল দায় কার?

ঘটনার বিবরণ

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা-১ ব্লকের মংলাপুর শরৎচন্দ্র শিক্ষানিকেতনের দুই ছাত্রী গত সোমবার, ১০ই ফেব্রুয়ারি হাসিমুখে ঝাড়বনী সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে প্রবেশ করে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদেরকে ঘরছাড়া হতে হয়। অ্যাডমিট কার্ড না থাকার কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক শিক্ষিকা তাদের ফিরিয়ে দেন।

READ MORE:  বাড়ি বসে আধারের সঙ্গে রেশন কার্ড লিঙ্ক, এই অনলাইন অ্যাপে পদ্ধতি আরও সহজ

দুই ছাত্রী জানায়, তাদের ফরম ফিলাপের বিষয়ে কোনো রকম ধারণাই ছিল না। একজন সরলভাবে বলে, “ফরম ফিলাপ করতে হয় বলেই জানতাম না। অনেকদিন স্কুলে যায়নি।” অপরজন জানায়, “গত বছরের অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে এসেছিলাম। নতুন করে ফরম ফিলাপ করতে হবে এটা জানতাম না।”

স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

মংলাপুর স্কুলের শিক্ষক জানিয়েছেন, এই দুই ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের সঙ্গে কোন রকম যোগাযোগ রাখেনি। তাদের শুধুমাত্র সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়ায় মূল টার্গেট ছিল। স্কুলের তরফে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষার জন্য কোন রকম ফরম ফিলাপ করেনি। 

READ MORE:  Business Idea: সব বাড়িতেই হাই ডিমান্ড, পার্ট টাইমে এই ব্যবসা শুরু করলেই মাসে ইনকাম হবে ৫০,০০০ টাকা | Cotton Buds Manufacturing Part Time Business

পর্ষদের মনিটরিং কমিটির জেলা আহ্বায়ক সুভাষ হাজরা বলেছেন, “তিনবার পর্ষদের পোর্টাল খুলে ফরম ফিলাপের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল ফরম ফিলাপ করানোর জন্য। তবে ছাত্রীরা স্কুলের সঙ্গে কোন রকম যোগাযোগ না রাখায় ফরম ফিলাপ করা সম্ভব হয়নি।”

প্রতিক্রিয়া এবং প্রশ্ন

এই ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে, আসল দায় কার? ছাত্রীদের মধ্যে ফরম ফিলাপের গুরুত্ব বোঝার তো অভাব ছিলই। তবে তার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে নোটিশ দেওয়া হলেও ছাত্রীরা কেন যথাযথ তথ্য পায়নি? অভিভাবকদের দিক থেকেও অসচেতনতার অভাব এখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

READ MORE:  মমতার বড় উপহার! এবার সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে বিনামূল্যে স্মার্টফোন দেবে সরকার

সমাজের প্রতি বার্তা

এই ঘটনা শুধুমাত্র দুটি ছাত্রীর জীবনেই নয়, বরং সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় প্রশ্ন তুলেছে। স্কুল ছাত্র, অভিভাবক এবং সমাজ সকলকেই শিক্ষার প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া জরুরী। শুধুমাত্র সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের জন্য নয়, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত স্কুলে আসা এবং শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী।

Scroll to Top