সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এমন একটা সময় ছিল, যখন দিল্লি থেকে মুম্বাই বা গুরগাঁও থেকে বড়োদরার মতো পথ পাড়ি দিতে একদিনের বেশি সময় লাগতো। অবশেষে এই দীর্ঘ সময় ব্যয়ের দিন শেষ হতে চলেছে। হ্যাঁ, খুব শিগগিরই চালু হতে চলেছে ভারতের সর্ববৃহৎ এবং সবথেকে আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে (Expressway), দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে। যেখানে ২২ ঘন্টার পথ মাত্র ১০ ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে কতটা সময় বাঁচবে?
সূত্রের খবর, হরিয়ানার গুরগাঁও থেকে গুজরাটের বড়োদরা পর্যন্ত প্রায় ৯৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে আগে ২০ থেকে ২২ ঘন্টা সময় লাগতো। আর এখন সময় লাগবে মাত্র ১০ ঘন্টা। হ্যাঁ, একদম ঠিকই পড়েছেন। ধাপে ধাপে এই এক্সপ্রেসওয়ে খোলার ফলে সময় সাশ্রয় করা সম্ভব হচ্ছে। বিশেষ করে রাজস্থানের কোটার কাছে নতুনভাবে প্রস্তুত হওয়া একটি বিরাট অংশ খুলে দেওয়ার ফলেই এই রুটে চলাফেরা এখন অনেক সহজ হয়ে উঠছে।
ভারতের সবথেকে দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে, যার মোট দৈর্ঘ্য ১৩৮০ কিমি, এটি শুধুমাত্র ভারতের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে নয়, বরং দেশের সবথেকে আধুনিক, পরিবেশবান্ধব মাইলফলক। সুত্রের খবর, এই এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চালানো যাবে ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে। ফলে সময় একদিকে যেমন বাঁচবে, তেমনই জ্বালানির খরচ কমবে অনেকটাই।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
নির্মাণ খাতে বিরাট বিনিয়োগ
বেশ কিছু সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই মেগা প্রকল্পটি নির্মাণের জন্য ৯৫ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। হ্যাঁ, একদম ঠিকই পড়েছেন। এই এক্সপ্রেসওয়েটি ভারতের মোট ছয়টি রাজ্যকে সংযুক্ত করছে। আর সেগুলি হল দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র।
টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো
এই মেগা প্রকল্পটি কেবলমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করছে না, বরং পরিবেশের উপর খারাপ প্রভাবকেও কমানোর চেষ্টা করছে। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির সময় গ্রীন টেকনোলজি ব্যবহার করেছে বলেই জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সময় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
কবে থেকে চালু হবে এই রুট?
সূত্র বলছে, পরিকল্পনামাফিক যদি কাজ চলে, তাহলে পুরো এক্সপ্রেসওয়ে আগামী অক্টোবর, ২০২৫ নাগাদ সম্পূর্ণ চালু হয়ে যেতে পারে। আর এর ফলে দেশের সবথেকে ব্যস্ততম এবং দীর্ঘতম রুটে যাত্রা হবে আগের থেকে মসৃণ, সহজ এবং আরামদায়ক।