প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হাতে গোনা আর মাত্র ৩ দিন। তারপরেই শুরু হতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। চলতি বছরই পুরোনো সিলেবাসের শেষ পরীক্ষা হতে চলেছে। এরপর থেকে সেমেস্টার ভিত্তিতে পরীক্ষা হবে। তাই শেষ মুহূর্তে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে সংসদ। কয়েকবছর ধরে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যেই সমাজমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই এবার সেই সমস্যা সম্পূর্ণ নির্মূল করতে উঠে পরে লাগল সংসদ। সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র (Higher Secondary Exam 2025) নিয়েও বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হল।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নানা বিষয় নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আর সেই বৈঠকে শুরুতেই পরীক্ষা শুরু এবং শেষের দিন ও সময় উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে আগামী ৩ মার্চ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে। যা ১৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে। পরীক্ষার সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু কিছু মাইনর বিষয়ে যেমন মিউজিক সহ অন্যান্য ভোকেশনাল সাবজেক্টের জন্য সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা হবে। পাশাপাশি এই বৈঠকে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড নিয়েও নানা তথ্য জানানো হয়েছে।
সমস্ত রিজিয়নে চলে গিয়েছে অ্যাডমিট কার্ড
বৈঠকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে এখন থেকে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডে থাকছে পরীক্ষাকেন্দ্রের নাম। অর্থাৎ কোন শিক্ষাকেন্দ্রে সিট পড়বে এখন সেটা লেখা থাকবে কার্ডে। যার দরুন অনেক পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে যেতে সুবিধা হবে। এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে যে এইমুহুর্তে কনফিডেশিয়াল প্রশ্নপত্র সমস্ত রিজিয়নে চলে গিয়েছে। এছাড়াও পুলিশ স্টেশনে বা ট্রেজারিতে চলে গিয়েছে। এবার পরীক্ষা কেন্দ্র এবং তারিখ অনুসারে প্যাকেজিং করা থাকবে প্রশ্নপত্রে। অর্থাৎ প্রত্যেকটা পরীক্ষাকেন্দ্রের জন্য এবার আলাদা করে প্রশ্নে প্যাকেট থাকবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক এর প্রশ্নপত্র এবার ভেনু সুপারভাইজারের ঘরে খোলা হবে না। এবার সংসদের তত্ত্বাবধানে ছাপাখানাতেই প্রশ্নপত্র বাছাই হবে। এবং পরীক্ষার্থীদের সামনেই পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট আগে খোলা হবে প্রশ্ন প্যাকেট। ছোট প্য়াকেটে থাকবে প্রশ্নপত্র। ফলে যে ঘরে যতগুলি প্রয়োজন সেই অনুসারে প্যাকেট দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যেমন থাকে তেমনটাই করা হয়েছে। উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে প্রশ্নপত্রে ডিজিটালি সিরিয়াল নম্বর থাকবে। সেটাই উত্তরপত্রে লিখতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। যাতে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে কপি না করা যায়।
দুজন করে ইনভিজিলেটর রাখতেই হবে একটা রুমে
এছাড়াও প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে একেবারে জিরো টলারেন্স নীতি চালু থাকবে। সেক্ষেত্রে তা চিহ্নিত করতে মেটাল ডিটেক্টর প্রত্যেক কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। সঙ্গে সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশদ্বারে ও প্রশ্নপত্র যেখানে থাকবে সেখানে সিসি ক্যামেরা রাখতেই হবে। পাশাপাশি কমপক্ষে দুজন করে ইনভিজিলেটর রাখতেই হবে একটা রুমে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যার ভিত্তিতে ইনভিজিলেটর এর সংখ্যা বাড়তে পারে। সংসদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চলতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লাখ ৯ হাজার। গত বছরের তুলনায় এবার অনেকটাই কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।