সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: যত দিন গড়াচ্ছে, তত সড়ক দুর্ঘটনা মাথাচড়া দিয়ে উঠছে। আর এর প্রধান কারণ ট্রাফিক আইন মেনে না চলা। এবার তা মোকাবিলা করতে ভারত সরকার নতুন কিছু সিদ্ধান্ত (New Traffic Rule) নিয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ট্রাফিক আইন আরো কঠোর হতে চলেছে। হ্যাঁ ঠিক শুনেছেন। যদি আপনি ট্রাফিক আইন না মানেন, তাহলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
জরিমানা না দিলে লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত
সরকারি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যদি কোন গাড়ির চালক চালান কাটার পর সময়মতো সেই চালান জমা না দেন, তাহলে তার লাইসেন্স সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে। যদি ই-চালান তিন মাসের বেশি সময় ধরে জমা না দেওয়া হয়, তাহলে আইন প্রয়োগ করে সংস্থাগুলি সরাসরি তার লাইসেন্স বাতিল করে দেবে। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। তাই এখন থেকে গাড়ি চালানোর সময় সতর্ক হওয়া জরুরী।
নতুন নিয়মে কী পরিবর্তন আসছে?
বেশ কিছু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, যদি কোন চালক এক বছরে তিনটি বা তার বেশি ট্রাফিক নিয়ম ভাঙেন, তাহলে তার লাইসেন্স তিন মাসের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে। ফলে তার জন্য আর গাড়ি চালানো সম্ভব হবে না। সরকারি সূত্র বলছে, চালান কাটা এবং জরিমানা আদায় সম্পর্কে এখন থেকে আরো কড়া নজরদারি করা হবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
চালু হচ্ছে নতুন সিস্টেম
সরকার মনে করছে, ই-চালান সিস্টেমের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব চালান আদায় করতে হবে। গত কয়েক বছর ধরে এই নতুন নিয়মের মাধ্যমে ৪০% মত ফাইন আদায় করা হয়েছে, যা খুবই কম। এবার এই সমস্যা সমাধান করতে সরকার নতুন সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে বিভিন্ন রাজ্যে। বিশেষত দিল্লিতে চালান আদায় করার হার এখন অনেকটাই কম।
প্রতিমাসে পাঠানো হবে অ্যালার্ম
বর্তমানে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং অন্যান্য প্রযুক্তির ব্যবহার তো থাকছেই। পাশাপাশি চালানের কথা গাড়ির মালিকদের অ্যালার্মের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে প্রতি মাসে। যারা তাদের চালান জমা দেননি, তাদের জন্য স্মার্ট অ্যালার্ম পাঠানো হবে তাদের ফোনে।
ট্রাফিক পুলিশের নতুন AI টেকনোলজি
শুধু এখানেই শেষ নয়। দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের হাতে এখন নতুন AI-সক্ষম 4D রাডার-ইন্টারসেপ্টর দেওয়া হয়েছে। এটি অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর, সিট বেল্ট না পড়া অথবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা, ইত্যাদি নিয়ম ভাঙার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। জানা যাচ্ছে, এই পদ্ধতির মাধ্যমে কোন মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই আইন ভঙ্গকারী চালকদের সনাক্ত করা যাবে।
সরকারের মূল দৃষ্টিভঙ্গী
সরকারের উদ্দেশ্য হল, বিদ্যুৎ এবং সময়ের অপচয় রোধ করা। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা। নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে আরও সুরক্ষিত এবং কার্যকরী করে তোলায় সরকারের মূল টার্গেট। তাই সকল চালককে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, নির্দিষ্ট ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, নিরাপত্তার দিকে মনোযোগ দিন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সকে রক্ষা করুন।