একেই বলে শিক্ষা! স্বামীর টাকায় ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন পরে তাকেই ছাড়েন স্ত্রী, সুযোগ বুঝে পর্দা ফাঁস স্বামীর

আপনি যা কর্ম করবেন তার ফল আপনাকে ইহ জীবনেই ভোগ করতে হবে। এমনটাই বলা হয়ে থাকে। তবে কতজন মানুষ নিজেদের কর্মের ফল এক জীবনে ভোগ করেন তা জানা না থাকলেও কিছু কিছু মানুষ যে ভোগ করে তার উদাহরণ আমরা মাঝেমধ্যেই পাই। আর এবার সেই রকমই এক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এলো। যাকে বলে নিজের কর্মের ফল একেবারে হাতেনাতে পেল এক স্ত্রী!

আসলে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়েই তার কোপে পড়েছেন ওই স্ত্রী। ঘটনা কি? আসলে নিজের স্ত্রীকে বেআইনি পথে ঘুষ দিয়ে রেলের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন এক স্বামী। ‌ আর তারপরেই স্বামীকে ধোকা দেন স্ত্রী। আর তারপরে দুর্নীতির সমস্ত গোপন তথ্য পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই স্বামী। এর ফলে যেমন চাকরি দুর্নীতির এক বড় কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস হয়েছে তেমনি নিজের স্ত্রীকে শিক্ষা দিতে পেরেছেন ওই স্বামী।

READ MORE:  স্বামীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা! তিন সন্তানকে কুয়োতে ফেললেন মা, উদ্ধার হল নিথর দেহ

এই চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে রেলে। ঘটনাস্থল কোটা। উল্লেখ্য, কোটার বাসিন্দা মণীশ মীনা আজ থেকে আট মাস রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে জানিয়েছিলেন যে তার স্ত্রী আশা মীনা জাল শংসাপত্র দেখিয়ে রেলের একটি চাকরি পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার স্ত্রীর হয়ে এক ডামি পরীক্ষা দিয়েছিলেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এবং সেই ডামিকে যিনি জোগাড় করে দিয়েছিলেন তারা নাম‌ও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। সেই ব্যক্তি একজন রেলওয়ে গার্ডের কাজ করেন তিনি। স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য নিজের চাষের জমি বন্ধক রেখে ১৫ লক্ষ টাকা তাকে দিয়েছিলেন মণীশ। কিন্তু যে স্ত্রীর জন্য এত লড়লেন হঠাৎ করে তার পর্দা ফাঁস কেন করলেন?

READ MORE:  লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা তিনগুণ বৃদ্ধি ও বিনামূল্যে বিদ্যুৎ! জানুন কবে থেকে কার্যকর হবে

এই ব্যাপারে জানা গেছে আসলে স্ত্রী চাকরি পেতেই বদলে যান। চাকরি পাওয়ার মাত্র ৫ মাসের মধ্যেই স্বামীর ঘর ছাড়েন তিনি। মণীশ বেকার বলে তাকে তুমুল ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতে থাকেন। এই ঘটনায় আক্রোশে ভুগতে থাকেন মণীশ। যে স্ত্রীর জন্য এত কিছু করেছেন, তার এমন ব্যবহার মেনে নিতে পারেন তিনি। আর এরপরই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পর্দা ফাঁস করে দেন মণীশ।

READ MORE:  বিমানের মধ্যে হঠাৎ সব পোশাক খুলে তাণ্ডব মহিলার! তারপর যা ঘটল, ভাইরাল ভিডিও

উল্লেখ্য, মণীশের এই আবেদনের ভিত্তিতে পশ্চিম মধ্য রেলওয়ের ভিজিলেন্স ডিপার্টমেন্ট তদন্ত শুরু করে। এরপর সেই তদন্তের ভার গিয়ে পড়েছে সিবিআইয়ের উপরে। গত শুক্রবার সিবিআই এই মর্মে একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে দিল্লি পুলিশের কনস্টেবল লক্ষ্মী মীনা এবং রেলের পয়েন্টওম্যান আশা মীনা সহ আরও অপরিচিত রেলকর্মীর। মণীশের কথা অনুযায়ী লক্ষ্মী মীনাই তার স্ত্রী আশা মীনা ও অপর এক প্রার্থী স্বপ্না মীনার হয়ে আলাদা আলাদাভাবে পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং ফিজিক্যাল টেস্টও সম্পূর্ণ করেছিলেন। লক্ষ্মীর সহায়তাতেই পয়েন্টসওম্যানের চাকরি পান তিনি। এর পিছনে রেলেরই এক বিরাট চক্র কাজ করছে বলে জানা গেছে।

 

Scroll to Top