আপনার নামে যদি একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে এখনই সাবধান হন। কারণ ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) এক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে, যেখানে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে যে, একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে এবং সন্দেহজনক লেনদেন ধরা পড়লে মোটা অংকের জরিমানা দিতে হবে। কিন্তু কেন হঠাৎ এমন নির্দেশিকা? চলুন এর পিছনে আসল কারণ জেনে নিই।
RBI এর নতুন নিয়মের কী বলা হয়েছে?
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের এই নতুন নিয়মে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তির নামে একাধিক ব্যাংক একাউন্ট থাকে এবং সেই একাউন্টে কোন সন্দেহজনক লেনদেন ধরা পড়ে, তাহলে তার কাছ থেকে ১০,০০০/- টাকা পর্যন্ত জরিমানা নেওয়া হবে। এই নির্দেশিকা মূলত স্ক্যাম প্রতারণা, কালো টাকা লেনদেন এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং চুরির ঘটনা প্রতিরোধ করতে জারি করা হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে সাধারণ গ্রাহকরা, যাদের একাধিক বৈধ অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবে লেনদেন করছেন তাদের কোন রকম চিন্তার কারণ নেই। অর্থাৎ, যদি আপনার দুটি বা তার বেশি অ্যাকাউন্ট থেকে এবং সেগুলোতে নিয়মিত লেনদেন করা হয় তাহলে কোন রকম সমস্যা নেই।
কেন এই নিয়ম চালু হল?
বিগত কয়েক বছর ধরে দেশে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, মুদ্রা তছরুপ, ফেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের প্রতারণা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কালো টাকা সাদা করা হচ্ছে। একই ব্যক্তির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে ভুয়ো লেনদেন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অনলাইনে বিভিন্ন স্ক্যাম হচ্ছে, যেখানে অপরাধীরা একাধিক ব্যাংক একাউন্ট ব্যাবহার করছে। এই সমস্ত প্রতারণার রোধ করতে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে।
জরিমানা না দিলে কী হবে?
যদি আপনার বিরুদ্ধে কোন সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিত হয় এবং জরিমানা ধার্য করা হয়, কিন্তু আপনি অস্বীকার করেন তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ, লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে। বারবার যদি এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম আরবিআই এর তালিকায় চলে যেতে পারে।
কীভাবে এই জরিমানার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে?
যে সমস্ত গ্রাহকের একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাদের নিয়মিত সেগুলি ব্যবহার করতে হবে এবং সন্দেহজনক লেনদেন থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকিং লেনদেনের সঠিক রেকর্ড রাখতে হবে এবং ফেক বা অনাবশ্যক অ্যাকাউন্ট থাকলে তা দ্রুত বন্ধ করে দেওয়াই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। শুধু তাই নয়, নিজের ব্যাংকিং তথ্য কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না, যাতে অন্য কেউ স্ক্যাম করে নেয়।