প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে কাশ্মীরে পরীক্ষামূলক ভাবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Kashmir Vande Bharat Express) চালানো নিয়ে নানা খবর উঠে এসেছে শিরোনামে। এখানে নয়া বন্দে ভারত নির্মাণের ক্ষেত্রে ভারতীয় রেলকে নানা দিক গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম হল কাশ্মীরের আবহাওয়া। আর এই আবহে দীর্ঘ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে ভারতের সব রাজ্যের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করতে চলেছে কাশ্মীর উপত্যকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই রেল পরিষেবার উদ্বোধন করতে চলেছে। জানিয়ে দেওয়া হল দিনক্ষণ।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
উদ্বোধনের দিন কে কে উপস্থিত থাকবে?
সূত্রের খবর, আগামী ১৯ এপ্রিল কাটরা থেকে প্রথম ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার জন্য পর্যটকরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে চলেছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে ট্রেনটি রিয়াসি জেলার কাটরা শহর থেকে যাত্রা শুরু করবে। এবং শ্রীনগরহয়ে পীর পাঞ্জাল পর্বতমালা অতিক্রম করে উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লায় চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছবে। আর এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং, জম্মু কাশ্মীরের উপ রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিকরা। বর্তমানে নয়া সেমি বুলেট ট্রেনটি সাঙ্গলদান থেকে বারামুল্লা পর্যন্ত চলছে। আর এই নয়া বন্দে ভারত অবশেষে স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছে সমস্ত উপত্যকা বাসীর।
কবে থেকে বাণিজ্যিক ভাবে চলবে এই ট্রেন?
তবে এখনও কাজ পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়নি জম্মু স্টেশনে। কবে কাজ শেষ হবে এই বিষয়ে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, “প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি জম্মু স্টেশনে বেশ কিছু কাজ চলছে। তবে সেগুলি একদম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী জুলাই-অগাস্ট মাসেই বাণিজ্যিক ভাবে জম্মু পর্যন্ত বন্দে ভারতের পরিষেবা পুরোপুরি শুরু হয়ে যাবে। আর এই সফর যে পুরোপুরি ভাবে রোমাঞ্চকর হবে তা বলার অবকাশ রাখছে না ভারতীয় রেল। জানা গিয়েছে চেনাব নদীর উপর কীভাবে বিশ্বের সবথেকে উঁচু রেলব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ পর্যবেক্ষণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মাতা বৈষ্ণো দেবী বেস ক্যাম্প কাটরা থেকে বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধন করবেন তিনি।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এই রেল সংযোগ একদিকে যেমন কাশ্মীরের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে উন্নত করবে ঠিক তেমনই সামাজিক বিকাশেও ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অন্যদিকে একদিকে যেমন পর্যটন শিল্পকে উৎসাহিত করবে ঠিক তেমনই স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রেল সংযোগের মাধ্যমে কাশ্মীরের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।