প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক সরকারী প্রকল্পের সূচনা করেছে। শিক্ষার উন্নতি, সুস্বাস্থ্য এবং স্বনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অন্যতম সরকারী প্রকল্প হল ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প। যা বাংলায় প্রথম চালু করে দেশের কাছে এক নজরকাড়া মডেল হিসেবে তুলে ধরেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমাদের সাথে যুক্ত হন
Join Now
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক পাশা ঘোরাতে এবং নিজের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পশ্চিমবঙ্গ বাসীর কাছে তৃণমূল সরকার নিয়ে এসেছিল লক্ষ্মীর ভান্ডার। তাইতো আক্ষরিক অর্থে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোক বলা হয়ে থাকে। প্রথমদিকে এই প্রকল্পে প্রতিমাসে রাজ্যের মহিলাদের ৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা। তবে SC ST মহিলাদের দেওয়া হত ১০০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে সেই প্রকল্পে আর্থিক পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। গত বছর ২০২৩ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বাজেটে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বৃদ্ধি ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। ১ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া হয়। এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা পান ১২০০ টাকা করে। তবে আশা করা যাচ্ছে আরও বাড়তে চলেছে ভাতা।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ভাতা বাড়ার আশা প্রবল
আসলে আগামী বছর অর্থাত্ ২০২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছে মমতা সরকার। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অর্থাত্ বুধবার বাজেট পেশ করবেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কল্পতরু হতে পারেন বলেই আশা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন জনপ্রিয় প্রকল্পে ভাতা বাড়তে পারে। তবে এখন, যে সকল নতুন উপভোক্তা নতুন করে লক্ষ্মীর ভান্ডার পেতে আবেদন করেছেন তাঁদের জন্য এসে গেছে এক নয়া সুবিধা। এখন খুব সহজেই ঘরে বসে তাঁরা দেখে নিতে পারবেন, তাঁদের আবেদনপত্রের বর্তমান স্ট্যাটাস কী আছে বা আদেও তাঁদের আবেদন পত্র গৃহীত হয়েছে কি না, ইত্যাদি। তবে তার জন্য কিছু পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই সকল স্টেপগুলো।
কীভাবে ঘরে বসে সমস্ত তথ্য জানা যাবে?
প্রথমে গুগলে গিয়ে টাইপ করতে হবে এরপর সাইটটি খুললে ডানদিকে উপরে দেখা যাবে Track applicant Status. এবার সেই অপশনে গিয়ে সার্চ ইউজিং বলে একটি অপশন দেখতে পাবেন। এবার সেখানে আবেদনকারীর অ্যাপ্লিকেশন আইডি অথবা মোবাইল নম্বর অথবা আধার কার্ড নম্বর কিংবা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নম্বর এই চারটি বিকল্প দেওয়ার নির্দিষ্ট জায়গা দেখাবে। তার মধ্যে থেকে যেকোনো একটি পূরণ করে নিতে হবে। পাশে থাকা ক্যাপচা কোড টি লিখতে হবে বক্সে। এরপর সার্চ করলেই নয় সংখ্যার অ্যাপ্লিকেশন আই ডি টি দেখতে পাবেন। আর তখনই দেখা যাবে আবেদন পত্র কবে জমা হয়েছে এবং আবেদনপত্রের বর্তমান স্টেটাস কী।