প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় ১৯ তম কিস্তির টাকা পাওয়ার জন্য E-KYC বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কৃষি দপ্তর নিশ্চিত করতে চাইছে যে, এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী প্রত্যেক কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যেন সঠিক সময়ে এই অর্থ পৌঁছায়। সকল কৃষকদের আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে E-KYC সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে কৃষি দপ্তর।
২৪শে ফেব্রুয়ারি জমা হবে ১৯ তম কিস্তি
আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের ভাগলপুর থেকে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় ১৯তম কিস্তির ২০০০ টাকা করে প্রত্যেক কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে পাঠাবেন। এই অর্থ কৃষকদের সঠিক সময় পাওয়ার জন্য E-KYC বাধ্যতামূলক করতেই হবে।
E-KYC যাচাই কীভাবে করবেন?
কৃষকরা খুব সহজেই E-KYC তথ্য আপডেট করতে পারবেন। এর জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুন-
- CSS-এর মাধ্যমে- কৃষকরা E-KYC এর জন্য নিকটস্থ কোনো কমন সার্ভিস সেন্টারে যেতে পারেন.
- কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের মাধ্যমে- ব্লক কৃষি অফিসার বা কৃষি সমন্বয়কারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও E-KYC যাচাই করা যেতে পারে।
- বায়োমেট্রিক বা ওটিপি পদ্ধতি- E-KYC যাচাইয়ের জন্য অবশ্যই কৃষকদের আঙ্গুলের ছাপ বা আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নাম্বারে প্রাপ্ত ওটিপি ব্যবহার করতে হবে।
কৃষি সমন্বয়কারীদের দায়িত্ব
কৃষি দপ্তর প্রতিটি গ্রামে কৃষি সমন্বয়কারীদের নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করেছে, যারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কৃষকদের E-KYC ভেরিফিকেশন করছেন। যে সব কৃষকরা বাইরে রয়েছেন তাদেরও এই বিষয়ে তথ্য পাঠানো হচ্ছে। একইসঙ্গে মৃত কৃষকদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলায় পরিস্থিতি
গোপালগঞ্জ জেলায় মোট ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮২৪ জন কৃষক প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি যোজনার আওতায় নিবন্ধিত। এর মধ্যে ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৭২ জন কৃষক ইতিমধ্যে E-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। বাকি কৃষকদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে E-KYC সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
কেন E-KYC বাধ্যতামূলক?
E-KYC এর মাধ্যমে কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করছে কৃষি দপ্তর। E-KYC এর মাধ্যমে নিশ্চিত করে যে, প্রকৃত কৃষকরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন এবং ভুয়ো নাম বা মৃত ব্যক্তিদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যেসব কৃষক এখনো E-KYC করেননি তাদের দ্রুত এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। এর ফলে ১৯ তম কিস্তির অর্থ সময়ের মধ্যে প্রত্যেক কৃষকের ব্যাংক একাউন্টে জমা পড়বে। কৃষি দপ্তর এই বিষয়ে প্রতিটি স্তরে কাজ চালাচ্ছে।