প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গোবরডাঙা স্টেশন (Gobardanga Station) হল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার এক অন্যতম স্টেশন। আসলে এই স্টেশনটি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড কার্জনের আমলে গড়ে তোলা হয়েছিল এই রেলস্টেশনটি। আর এবার সেই রেলস্টেশন নিয়ে এক বড় উদ্যোগ নেওয়া হল। এতদিন যেই ঐতিহাসিক স্টেশনটি লোকচক্ষুর আড়ালে রয়ে গিয়েছিল এবার সেই স্টেশনকে এক পলকেই ঝাঁ চকচকে করে দেওয়া হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
নয়া পরিকল্পনায় গড়ে উঠল গোবরডাঙা স্টেশন
সূত্রের খবর গত ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি গোবরডাঙা স্টেশনে সফলভাবে লেআউট সংশোধন করা হয়েছে। যার ফলে সেকশনাল স্পিড ৫০ কিমি/ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১০ কিমি/ঘণ্টা করা হয়েছে। যার ফলে ট্রেন চলাচলের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেতে চলেছে। জানা গিয়েছে পরিকল্পিত মেগা ব্লকের মাধ্যমে এই কাজটি শিয়ালদহ বিভাগের অপারেটিং, ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন (S&T) এবং ট্র্যাকশন ডিস্ট্রিবিউশন (TRD) বিভাগ একসঙ্গে করেছে।
রেল সূত্রের খবর, ট্র্যাক রি-অ্যালাইনমেন্টের জন্য দুটি পয়েন্ট স্থানান্তরিত করা হয় যা ট্রেনের গতি ও যাত্রার গুণগত মান উন্নত করবে। নতুন ট্র্যাক অ্যালাইনমেন্টের জন্য ১০টি ওভারহেড ইকুইপমেন্ট মাস্ট স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সিগন্যালিং সিস্টেমের উন্নতির জন্য পয়েন্ট জংশন বক্স, ডিসি ট্র্যাক সার্কিট বন্ড এবং ৬টি গ্লু জয়েন্ট স্থানান্তর করা হয়। নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য করতে ১১ মিটার ট্র্যাক স্থানান্তর করা হয়।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এছাড়াও দত্তপুকুর – বিড়া সেকশনে BCM মেশিন ৩৩১ ব্যবহারের মাধ্যমে ট্র্যাকের গভীর স্ক্রিনিং করা হয়। গোবরডাঙা থেকে চাঁদপাড়া পর্যন্ত ৮টি স্থানে ওভারহেড ইকুইপমেন্ট (OHE) এর বার্ষিক ওভারহল (AOH) করা হয়। গোবরডাঙা ও চাঁদপাড়ায় ২টি সম্পূর্ণ গ্যান্ট্রি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। চাঁদপাড়া স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম ২ লাইনের ডিপ স্ক্রিনিং করা হয়। গোবরডাঙা ও চাঁদপাড়ায় ২টি সম্পূর্ণ গ্যান্ট্রি রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
কী বলছেন পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার?
এই বিষয়ে পূর্ব রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার, শ্রী মিলিন্দ কে, দেউসকর, গোবরডাঙা মেগা ব্লকের সাফল্যকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি প্রশংসার সুরে জানিয়েছেন যে, “এই জটিল ও সমন্বিত কাজগুলির সুষ্ঠু সম্পন্নতা পূর্ব রেলওয়ের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রতি অটুট প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এটি যাত্রীদের নিরাপদ, দ্রুত ও আরামদায়ক ট্রেন যাত্রা নিশ্চিত করবে।” আশা করা যাচ্ছে এই সাফল্যের ফলে যাত্রীদের ভ্রমণের সময় আরও দ্রুত হবে এবং সামগ্রিক পরিষেবার মান উন্নত হবে।