প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ে রাতারাতি চাকরি হারায় এসএসসি- র (SSC Case) প্রায় ২৬ হাজার কর্মী। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের এইরূপ অবস্থায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য রাজনীতি। সঠিক বিচারের দাবিতে চারিদিকে শুরু হয় বিক্ষোভ। আর এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বৈঠক হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, আন্দোলনরত ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের তরফে ১৩ জন প্রতিনিধি বিকাশ ভবনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু–সহ শিক্ষা দপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসি–র চেয়ারপার্সন সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং শিক্ষাসচিব বিনোদ কুমার। এদিন দিন দুপুর তিনটের পরে বিকাশ ভবনে সঙ্গে বৈঠকে বসেন মোট ১৩ জন চাকরিহারা শিক্ষক।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বৈঠকে ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্যে’র তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত
এদিনের বৈঠকে চাকরিহারা শিক্ষকদের মূল দাবি বা প্রশ্ন ছিল তিনটি। এক, যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথক তালিকা রয়েছে কিনা। যদি থাকে তা এসএসসি কবে প্রকাশ করবে? দুই, ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ থাকলে সেটি কবে প্রকাশ করবে এসএসসি। এবং তিন, এপ্রিল মাসের বেতন চাকরিহারারা পাবেন কিনা। শেষে দীর্ঘ বৈঠকের পরে চাকরিহারাদের তরফে থাকা প্রতিনিধিরা সাংবাদিক বৈঠকে জানান আপাতত শিক্ষাকর্তারা কয়েকটি দাবি মেনে নিয়েছেন যার মধ্যে একটি হল শীঘ্রই ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্যে’র তালিকা প্রকাশ।
মিরর ইমেজ প্রকাশ নিয়ে ইতিবাচক সাড়া
বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্যে’র তালিকা প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। এছাড়াও ২০১৬ সালের যে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে তার ওএমআরের প্রতিলিপি বা মিরর ইমেজ প্রকাশ করা যায় কি না, সে বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে যদি আইনি কোনও বাধা না থাকে, তা হলে সেটাও খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে এসএসসির ওয়েবসাইটে। তবে এদিন বৈঠকের পরেও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন। জানা গিয়েছে প্রয়োজনে রাজ্য সরকারের তরফে রিভিউ পিটিশন দেওয়া হবে। তবে সমস্যা আইনি পথেই সমাধান হবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
২০১৬ এর হার্ড ডিস্ক নিয়ে প্রশ্ন
অন্যদিকে বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার উপস্থিত থাকলেও তিনি সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। এদিন সিদ্ধার্থ মজুমদারকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে এসএসসি কি হার্ড ডিস্ক হারিয়ে ফেলেছে? তাই কি সিবিআইয়ের কাছ থেকে নিতে হচ্ছে? সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করবেন না। পরক্ষণেই সেই প্রশ্নের উত্তরে ব্রাত্য বসু বলেন, উনি ২০২২ সালে এসেছেন। ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় কী হয়েছিল তা নিয়ে উনি বলবেন কী করে?
এদিন চাকরিহারাদের তিনটি দাবির মধ্যে প্রথম দুই দাবির ক্ষেত্রে ইতিবাচক উত্তর আসলেও এপ্রিলের বেতন নিয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য করেননি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। যদিও তিনি এপ্রিলের বেতনের ব্যাপারে জানিয়েছিলেন যে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। সুপ্রিম কোর্টের একটা নির্দেশ রয়েছে। সরকার আইনি পরামর্শ নিচ্ছে। অর্থাৎ এপ্রিলের বেতন নিয়ে বেশ ধন্দের মধ্যেই রয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।