প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation) কর আদায় করতে গিয়ে নানারকম ভাবে ধাক্কা খাচ্ছে। কর আদায়ে পুরসভা কঠোর পদক্ষেপ করতে না পারায় অনেকের মধ্যে কর না দেওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে বেশ। যার জেরে কলকাতা পুরসভার কোষাগারের হাল একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। এবং আর্থিক অভাবের ফলে পুরসভার অন্তর্গত কোনো উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে গিয়েও থেমে যেতে হচ্ছে। তাই এবার এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বকেয়া সম্পত্তিকর আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
আমাদের সাথে যুক্ত হন
Join Now
বকেয়া সম্পত্তি কর নিয়ে এবার বড় উদ্যোগ
বকেয়া সম্পত্তি কর আদায়ের জন্য কলকাতা পুরসভা অতীতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু ,তারপরও দেখা যাচ্ছে পরিস্থিতি সেরকম বদলায়নি। পুরকর্তারা এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যে, পুর আইন অনুযায়ী কেউ যদি দীর্ঘদিন সম্পত্তিকর জমা না করে এবং পুরসভার নোটিশ অগ্রাহ্য করে তাহলে কলকাতা পুরসভা বাধ্য হবে সেই সম্পত্তি অ্যাটাচ করে নিলামে তুলতে। যদিও পুরসভার ইতিহাসে এই ধরনের নজির খুব একটা নেই। তবে পুরসভার অন্তর্ভুক্ত বকেয়া সম্পত্তিকর আদায়ে পুরকর্তারা এবার সমস্যা সমাধানে আঙুল না বেঁকিয়ে পারল না। তাই বাড়ি নিলামের হুমকি দিলেও শেষপর্যন্ত রণে ভঙ্গ দিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।
তৈরি করা হয়েছে প্যানেল
ইতিমধ্যেই বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তিকর মেটাচ্ছেন না, তাঁদের নিয়ে ইতিমধ্যে তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে পুরসভা অ্যাসেসমেন্ট বিভাগকে। সেই মতো তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এবং যে সব সম্পত্তি নিলাম করা হবে তার দাম নির্ধারণের জন্য মোট ১১ জন ভ্যালুয়ারের একটি প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। তারাই সেল প্রাইস এবং রিজার্ভ প্রাইস ঠিক করে দেবেন।
পাঠানো হবে নোটিশ
তবে সম্পত্তি নিলামে তোলার আগে সেই বিষয়ে ওয়ার্নিং বা সতর্কবার্তা দেওয়া হবে। সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে। প্রথমে লিখিতভাবে বাড়ির মালিককে জানানো হবে গোটা বিষয়টি। এরপর একটি নোটিশ পাঠানো হবে। তারপরে যদিও কাজ না হয় তাহলে সেই বাড়িতে পোস্টার লাগানো হবে। তাতেও কাজ না হলে কলকাতা পুর আইনের ২১৯ ধারায় সম্পত্তি অ্যাটাচের নোটিশ দেওয়া হবে। এবং তখনই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে পুরসভা। সেক্ষেত্রে যদি বাড়িতে লোক না থাকে তাহলে তালা ঝোলানো হবে।