প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বহুদিন ধরেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ইডি ও সিবিআইয়ের দুই মামলাতেই জামিন পেয়েছেন কুন্তল ঘোষ। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর কালীঘাটের কাকুর (Sujay Krishna Bhadra) কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করে CBI। যদিও ED র মামলায় আগেই জামিন পেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। পরে সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন মঞ্জুর হলেও এবার সেই নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
বিভিন্ন শর্ত আরোপ করল আদালত
কিছুদিন আগেই কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জামিন মঞ্জুর করা হয়। কিন্তু তার জন্য একাধিক শর্ত তাঁর উপর আরোপ করা হয়। আদালতের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যে, বাড়ি ও হাসপাতাল ছাড়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কোথাও যেতে পারবেন না। এমনকি বাড়িতে সর্বক্ষণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে যে দুটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করছেন, তা জানাতে হবে CBI কে। সবমিলিয়ে সিবিআইকে দুর্নীতির তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।
জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি
কিন্তু আদালতের তরফে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামিনের যে মেয়াদ দেওয়া হয়েছিল সেটি আর কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে মার্চের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিনের রয়েছে মেয়াদ। তাই এবার সেই মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হলেন কালীঘাটের কাকু। পাশাপাশি জামিনের শর্ত কমানোরও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে অন্তর্বতী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্দেশে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনে আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কথাও তুলে ধরেছেন তাঁর আইনজীবী। বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঠেলায় অতিষ্ঠ কালীঘাটের কাকু, যে কারণে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার কমানোর আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এর আগে আদালতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতে সিবিআই যে চতুর্থ চার্জশিট পেশ করেছিল সেখানে দাবি করা হয়েছিল যে, সুজয়কৃষ্ণ, তাঁর সহযোগী অরুণ হাজরা ওরফে চিনু এবং আর এক অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ শুধু প্রাথমিক নয়, মাধ্যমিক শিক্ষক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী পদের চাকরির জন্যও চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা নিলেও কয়েকজনকে চাকরি দিতে পারেনি। তার বদলে কিছু জমি ও টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।