কৌশিক দত্ত, শ্রীনগরঃ গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ঘটে যায় এক নৃশংস কাহিনী (Pahalgam Terror Attack)। পর্যটকদের উপরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ২৭ জনকে হত্যা করে পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গিরা। এই ঘটনার জেরে শুধু ভারতই নয়, গোটা বিশ্বে পড়ে যায় শোকের ছায়া। গোটা জম্মু কাশ্মীর ঘিরে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। পর্যটকরা প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ভূস্বর্গ ছেড়ে বাড়ি ফেরার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
২২ এপ্রিলের এই ঘটনার ২৬ জন পর্যটকের মধ্যে তিনজন বাঙালি পর্যটকও ছিলেন। পাশাপাশি একজন স্থানীয় ব্যক্তিও প্রাণ হারান। দেশজুড়ে ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মানুষ। তড়িঘড়ি সীমান্তে সুরক্ষা বাড়ানো হয়। এরপর ভারতীয় সেনাও জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে দেয়।
এর ঠিক একদিন পরেই জঙ্গি দমন অভিযানে গিয়ে প্রাণ হারান বাংলার জওয়ান ঝন্টু আলি শেখ। আবার সেদিনই ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের হাতে আটক হন পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার রিষড়ার BSF জওয়ান পূর্নম সাউ। তিন দিন ধরে পাকিস্তানে বন্দি তিনি। আর এরই মধ্যে ফের নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল ভূস্বর্গে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এবার উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়াড়ায় বাড়িতে ঢুকে হামলা চালাল জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে যে, কুপওয়াড়ার কান্দি খাস এলাকার এক বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় জঙ্গিরা। এই ঘটনায় সমাজকর্মী রসুল মাগরে নামের এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন। বর্তমানে হান্দওয়ারায় তাঁর চিকিৎসা চলছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে রসুলের বাড়িতে আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। রসুলের তলপেট ও হাতে গুলি লাগে। খবর পেতেই নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গোটা এলাকা ঘিরে চালানো হয় তল্লাশি অভিযান। যদিও এখনো পর্যন্ত কারও গ্রেফতারির খবর মেলেনি। ওদিকে কেন হামলা করা হল? তাঁর কারণও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিলের ঘটনার পর কাশ্মীর পর্যটক শূন্য হয়েছে। নতুন করে আর কেউ ভূস্বর্গে যেতে চাইছেন না। যার জেরে কাশ্মীরের পর্যটন ব্যবসা বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সাধারণ কাশ্মীরিরা জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রতিবাদে একদিনের বন্ধও ডেকেছিল।