সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কাশ্মীর উপত্যকার সৌন্দর্যের মাঝে যেন হঠাৎ করে নেমে আসে রক্তের অন্ধকার। হ্যাঁ, জন্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও (Pahalgam Attack) অঞ্চলে ঘটে যাওয়া এক সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলা গোটা দেশকে কাঁপিয়ে তুলেছে। কিন্তু কে করল এই হামলা? কারা এই জঙ্গিদেরকে পাঠালো? অস্ত্রশস্ত্রই বা কোথা থেকে আসলো?
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
এই সমস্ত প্রশ্নগুলির উত্তর উঠে এসেছে পড়শি দেশের অভ্যন্তরীণ এক সূত্র থেকে। আর সেটি আর কেউ নয়, পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনা আধিকারিক আদিল রাজা।
অভিযুক্ত পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনির?
এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আদিল রাজা যা লিখেছেন, তা নিজের চোখে বিশ্বাস করা সত্যিই খুব কঠিন। তিনি দাবি করছেন, পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের নির্দেশেই পহেলগাঁওয়ে এই রক্তক্ষয়ী হামলা হয়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
আদিল রাজা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “এই পোস্ট লেখার সময় আমি জানি, আমাকে হয়তো অনেকেই ভারতের দালাল বলে অভিহিত করবেন। কিন্তু সত্যি এই যে, পহেলগাঁওয়ে যে হামলা হয়েছিল, তা আসিম মুনিরের আদেশেই। আর এটি শুধুমাত্র আমার একার বক্তব্য নয়, বরং একাধিক ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের বক্তব্য।”
কেন করা হল এরকম হামলা?
আদিল রাজা দাবি করছে, আসিম মুনির এই হামলা ছক কষেই করেছেন। আসলে তার উদ্দেশ্য ছিল, তার বিরুদ্ধে চলা নানানরকম মামলা এবং অভিযোগগুলিকে ধামাচাপা দেওয়া। আর তিনি আরও দাবি করেছেন যে, প্রথমে বিদেশে থাকা পাকিস্তানিদের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে উত্তেজিত করা হয়েছিল। আর এরপর পরিকল্পনামাফিক হামলা চালানো হয় পহেলগাঁওয়ে। আর এটি ছিল কেবলমাত্র নিজের চেয়ার বাঁচানোর জন্যই নাকি লড়াই।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের প্রতিক্রিয়া
তবে আদিল রাজার এই মুখোশ খুলে দেওয়া বক্তব্য শুনে চুপ থাকেনি পাকিস্তানের প্রাক্তন সামরিক আধিকারিকরা। প্রাক্তন মেজর জেনারেল হায়দার খান বলেছেন, যদি এই কথা সত্যি হয়, তাহলে পাকিস্তানের জন্য এটি ভীষণ লজ্জাজনক। আজ দেশের সম্মান এবং আঞ্চলিক শান্তি, দুটিই এর ফলে বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে।
এমনকি পাক সাংবাদিক রুমান হাশমি জানিয়েছেন, আসিম মুনির হয়তো নিজেই নিজের ক্ষমতা বাঁচানোর জন্য এই ষড়যন্ত্র করেছিলেন। কিন্তু এর ফলে পুরো পাকিস্তান কলঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এমনকি কোনাঠাঁসা হয়ে করছে আন্তর্জাতিক মহলে। তবে কাশ্মীরের শান্ত পরিবেশে রক্ত ঝরানোর নেপথ্য যদি সত্যিই আসিম মুনিরের হাত থাকে, তাহলে শুধুমাত্র তা কাশ্মীর নয়, বরং পুরো উপমহাদেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হতে পারে।