ক্রমাগত রিলস আর শর্টস দেখে চলেছে আপনার সন্তান? হতে পারে এই বিশাল ক্ষতি, এখনই সাবধান হন

বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে বাচ্চারা জন্ম ইস্তক পরিচিত হয়ে যায় ভিডিও, রিলস,শর্টস । আসলে এখন বাচ্চাদের সঙ্গে অনর্গল কথা বলার মতো সময় কোথায় বাবা-ময়ের? দুজনেই যে ব্যস্ত। আর তাই বাচ্চাদের জীবনে বাবা- মায়ের অভাব পূরণ করছে এখন সোশ্যাল মাধ্যম।

বাচ্চা খেতে না চাইলে, বাচ্চা কাঁদলে, বাচ্চার মুড ভালো করতে এখন বাবা মায়েরাই তাদের চোখের সামনে মেলে ধরছেন মোবাইল ফোন। আর এর সর্বনাশা ফল হচ্ছে। ‌রিলস, শর্টস, ভিডিওর অসম্ভব নেশা হয়ে উঠছে শিশুদের। বাবা-মা হয়ত ভাবছেন এইসব দেখে বাচ্চা শান্ত থাকছে, তাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু এইসব দেখে যে সূদূর প্রসারী রোগ আপনার শিশুকে আক্রমণ করছে তা কি কখন‌ও ভেবে দেখেছেন?

READ MORE:  গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে A-26, B-27 লেখা থাকলে‌ সাবধান হন! এর মানে কিন্তু মারাত্মক

বলাই বাহুল্য, এখন প্রতিটা বাড়িতেই শিশুরা সোশাল মাধ্যম মুখী। ফেসবুক, ভিডিও এইসবের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ। কিন্তু এগুলো হয়েছে তাদের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের ইউটিউব শর্টস এবং রিল দেখা থেকে বিরত থাকতে। তাদের দাবি খুব অল্প বয়সে সোশ্যাল মাধ্যমের দৌলতে বহু বিষয়ের সঙ্গে অবগত হয়ে যাওয়ায় তাদের মানসিক অবস্থার ব্যাঘাত ঘটছে। রিলসে দেখা চরিত্র গুলোর মতো করেই তারা আচরণ করা শুরু করছে। কথা বলছে।

READ MORE:  এক টুকরো সাবানেই হবে বাজিমাত! বাড়িতেই অতি সহজে বানিয়ে নিন অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যধিক ভিডিও এবং রিলস ক্রমাগত দেখার ফলে শিশুদের মধ্যে ভীষণ রকম আগ্রাসন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাগ, জেদ বাড়ছে। কমছে সহানুভূতিশীলতা। এর ফলে শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করতে ভবিষ্যতে অভিভাবকদের ভীষণ অসুবিধা হবে বলে তাদের মত। এছাড়া টানা মোবাইল দেখার ফলে তাদের ঘুম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের ফলে বাচ্চারা খিটখিটে বদমেজাজি হয়ে উঠছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাচ্চাদের বয়স যদি দুই বছরের কম হয় তাহলে তাদের হাতে একেবারেই মোবাইল ফোন দেওয়া উচিত নয়। বেশি বয়সের বাচ্চারাও শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিডিও দেখুন এমনটাই বলছেন তারা।

READ MORE:  যেতে হবে না পার্লারে, ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন ত্বকের কালো ট্যান, ২ সপ্তাহে মুখ হবে উজ্জ্বল