‘ক্লান্ত, ১৬ ঘণ্টা ধরে চালাচ্ছি, আর পারব না!’ কুম্ভ স্পেশ্যাল ট্রেন ছেড়ে পালালেন লোকো পাইলট

কৌশিক দত্ত, কলকাতাঃ মহাকুম্ভের (Mahakumbh 2025) জন্য রেলের তরফ থেকে সব রাজ্য থেকেই একাধিক কুম্ভ স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। যদিও স্পেশ্যাল ট্রেন চালিয়েও যাত্রী বয়া পুণ্যার্থী কারওই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। স্পেশ্যাল হোক আর চিরাচরিত চলা ট্রেন, সব জায়গাতেই গাদাগাদি ভিড়। এমনকি রিজার্ভেশন কামরা ও AC কামরাতে উঠে যাচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। যার জেরে সাধারণ যাত্রীদের চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আর এরই মধ্যে কুম্ভ স্পেশ্যাল ট্রেন নিয়ে প্রকাশ্যে এল এক অদ্ভুত ঘটনা।


আমাদের সাথে যুক্ত হন

Join Now

কুম্ভ স্পেশ্যাল ট্রেন ছেড়ে পালালেন লোকো পাইলট

রেল দ্বারা বিভিন্ন জায়গা থেকেই প্রয়াগরাজ অবধি স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। আর এমনই একটি ট্রেন তাঁর গন্তব্য উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে যাওয়ার আগেই একটি স্টেশনে পৌঁছে হঠাৎ থমকে যায়। ট্রেনের লোকো পাইলট লোকোমোটিভ থেকে নেমে পড়েন এবং আধিকারিককে জানান যে, লাগাতার ডিউটি করার জেরে তিনি ক্ল্যান্ত তিনি আর ট্রেন চালাতে পারবেন না।

READ MORE:  রেলের নিয়মে পরিবর্তন! মার্চ থেকে ওয়েটিং টিকিটে স্লিপার বা AC কোচে বন্ধ ভ্রমণ? জানুন সবটা

চালকের এই কথা শোনার পরেই রেল আধিকারিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। এমনকি এই মামলা বারাণসীর ADG পর্যন্ত পৌঁছায়। তিনি মির্জাপুরের পুলিশকে জানান, রেল সমস্যার সমাধান করে অন্য লোকো পাইলট দিয়ে ট্রেনকে রওনা করেছে। যদিও, লোকো পাইলটের কারণে ট্রেনটি দুই ঘণ্টা নিগতপুরে দাঁড়িয়ে ছিল।

নিগতপুর স্টেশনে ২ ঘণ্টার উপর দাঁড়িয়ে কুম্ভ স্পেশ্যাল ট্রেন

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শুক্রবার প্রয়াগরাজ রামবাগ স্টেশন থেকে তীর্থযাত্রীদের নিয়ে কুম্ভ মেলা স্পশ্যাল ট্রেন রওনা দিয়েছিল। ট্রেনের লোকো পাইলট ছিলেন নাথুলাল। দুপুর ১:১৫ নাগাদ নিগতপুর স্টেশনে পৌঁছে লোকো পাইলট স্টেশন মাস্টারকে মেমো দিয়ে জানান যে তিনি আর ট্রেন চালাতে পারবেন না। ট্রেনটি প্রয়াগরাজ থেকে কাশী বারাণসীর দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনটি এমন আচমকাই দাঁড়িয়ে পড়ার পর প্রথমে যাত্রীরা না বুঝতে পারলেও, এক ঘণ্টার উপর ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকার পর তাঁদের টনক নড়ে।

READ MORE:  ফের ভয়ঙ্কর রেল দুর্ঘটনা, ব্রিজ থেকে ছিটকে পড়ল ইঞ্জিন! দিল্লি-হাওড়া রুটে ব্যহত ট্রেন চলাচল

১৬ ঘণ্টা ধরে ডিউটি করছিলেন লোকো পাইলট

কিছু যাত্রী স্টেশন মাস্টারকে ট্রেন লেটের কারণ জানতে চাইলে তাঁরা জানতে পারেন যে, চালকের অসুস্থতার জন্য ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে। এরপর ট্রেনের বাকি যাত্রীরা স্টেশনে নেমে হাঙ্গামা করতে থাকেন। জানা যাচ্ছে যে, ট্রেনের চালক ১৬ ঘণ্টা ধরে ট্রেন চালাচ্ছিলেন। আর তিনি প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার কারণেই স্টেশন মাস্টারকে ট্রেন চালাবেন না বলে জানিয়ে দেন।

READ MORE:  রাতে ফিরলেন না বাড়িতে, কোথায় সায়নী ঘোষ? শুক্রবার তলব নিয়ে বিরাট জল্পনা
Scroll to Top