প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর শপথ নেওয়ার পরই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি হয়। সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি পুনরায় তদন্তের দাবি জানায় পরিবার। আর তাতেই শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, বিচারপতি ঘোষের বেঞ্চে শুনানিতে আর কোনও বাধা নেই। তাই সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজ অর্থাৎ সোমবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। এবং সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতার পরিবার। জানা গিয়েছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিচারপতি একাধিক প্রশ্ন করল এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
SIT গঠন করে আরজি কর ঘটনায় তদন্ত
আরজি ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার CBI এর কাঁধে ওঠার পর থেকেই নির্যাতিতার পরিবার দাবি করে আসছে যে সিবিআই ঠিকভাবে গোটা বিষয়টি তদন্ত করছেন না। অনেক ব্যক্তিকেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেনি বলেন জানায় পরিবার। যেমন , জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছেও আবেদন পাঠানো হয়। সেই সূত্রে আজও হাইকোর্টের কাছে তাদের তরফে রীতিমত আর্জি জানানো হয়, যাতে পরবর্তী CBI তদন্ত আদালতের নজরদারিতেই হয়। এছাড়াও পরিবারে তরফে আদালতের কাছে আবেদন রাখা হয়, যেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকদের দিয়ে SIT গঠন করে তদন্ত করে। আর এই অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক প্রশ্ন করা হয় CBI কে।
কী বললেন বিচারপতি ঘোষ?
এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI কে আরজি কর ঘটনার তদন্তের নিরিখে বেশ কিছু বিষয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, “তদন্তের কোথাও গিয়ে কি সিবিআই-এর মনে হয়েছে যে এটা কোনো একজনের কাজ নয়? মনে হয়েছে কি যে এটা গণধর্ষণের ঘটনা? আর তেমনটা যদি মনে হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে সন্দেহভাজন কারা?” সিবিআইকে প্রশ্ন করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে সিবিআই জানায়, তদন্তকারী অফিসার রাজ্যের বাইরে আছেন। তাই কিছুটা সময় দেওয়া হোক। তারা সব প্রশ্নেরই জবাব দেবে।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য
এছাড়াও এদিন আদালতে আরজিকর মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সঞ্জয় রায়কেও এই মামলায় রাখা উচিত। কারণ, আদালতের কোনও নির্দেশে দোষীর ক্ষতিও হতে পারে। ফলে, তার আইনি অধিকার রক্ষা করতে হবে। কিন্তু এই যুক্তির পক্ষে পাল্টা দাবি তোলে সিবিআই-এর আইনজীবী। তিনি বলেন, এই পর্যায়ে সঞ্জয় রায়কে মামলার কোনও পক্ষ হিসাবে রাখা যাবে না। কারণ, বর্তমানে দোষীর এমন কোনও আইনি অধিকার নেই। সবশেষে এদিন CBI দু’সপ্তাহ সময় চায় আদালতের কাছে। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে যে , আগামী শুনানিতে সিবিআইকে কেস ডায়রি-সহ তদন্তের অগ্রগতির তথ্য জানাতে হবে। এবং ২৮ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।