গিজার থেকে জুতো, সবই নকল! Amazon, Flipkart এর গোডাউনে ঠকবাজির পর্দাফাঁস
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দেশে অনলাইনে কেনাকাটার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে আমরা Amazon এবং Flipkart কেই প্রাধান্য দিই। তবে সম্প্রতি ভারতীয় মান সংস্থা এক চাঞ্চল্যকর অভিযান চালিয়েছে (BIS Raid)। জানা যাচ্ছে, BIS সেই অভিযান চালিয়ে Amazon এবং Flipkart দুই ই-কমার্স জায়ান্টের গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণে ভুয়ো এবং নিম্নমানের পণ্য বাজেয়াপ্ত করেছে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। দিল্লিতে অবস্থিত Amazon Sellers Private Limited এবং Flipkart এর প্রতিষ্ঠান Instacart Services Private Limited এর গুদামে অভিযান চালিয়ে BIS কর্মকর্তারা প্রায় হাজার হাজার অননুমোদিত পণ্য উদ্ধার করেছে।
বেশ কিছু সংবাদ সংস্থা দাবি করছে, দিল্লিতে অবস্থিত মোহন কো-অপারেটিভ ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াতে গিজার, ফুড মিক্সার এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ প্রায় ৩৫০০ এর বেশি পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হিসাব বলছে মোট ৭০ লক্ষ টাকার অননুমোদিত দ্রব্য ছিল। ১৯শে মার্চ BIS এর কর্মকর্তারা অ্যামাজনের এই গুদামে তল্লাশি চালিয়েছিল। দীর্ঘ ১৫ ঘন্টার অভিযানে দেখা যায় যে, অনেক পণ্য ছিল বাধ্যতামূলক ISI মার্ক ছাড়া। আবার কিছু এমন পণ্য ছিল, যেগুলিতে জাল ISI লেবেল লাগানো ছিল।
এরপর তারা ফ্লিপকার্টের গুদামেও অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৫৯০ জোড়া স্পোর্টস সু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার বাজার মূল্য দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। এই সমস্ত জুতার গুণগতমান ছিল একদম নিম্ন। পাশাপাশি কোন জুতায় ISI মার্ক ছিল না। এমনকি উৎপাদনের সঠিক তারিখও উল্লেখ করা ছিল না।
শুধু দিল্লিতেই নয়। সম্প্রতি BIS দিল্লি, গুরুগ্রাম, ফারিদাবাদ, লখনউ, শ্রিপেরুমবুদুর সহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরিতে তল্লাশি চালিয়েছে এবং যেখানে প্রায় ৭৬৯ ধরনের পণ্য বাজেয়াপ্ত করেছে, যেগুলি অনুমোদন ছাড়া উৎপাদন, আমদানি এবং বিক্রি বা সংরক্ষণের সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। জানা যাচ্ছে, গত এক মাস ধরে বিভিন্ন শহরে তারা অভিযান চালিয়েছে। সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, এই ৭৬৯টি পণ্যতেই ISI মার্ক দরকার ছিল। তারা জানিয়েছে, যদি কোন সংস্থা অনুমোদন ছাড়া এই সমস্ত পণ্য বিক্রি করে বা সংরক্ষণ করে রাখে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক সংবাদমাধ্যম খতিয়ে জানা গেছে, আমাজনের পুদুভয়াল ও ফ্লিপকার্টের কোডুভাল্লি গুদামে জলের বোতল, সিলিং ফ্যান, খেলনা, ডায়াপার সহ মোট ৩৩৭৬টি অ্যামাজনের পণ্য এবং ৩৫৮টি ফ্লিপকার্টের পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৩৬ লক্ষ টাকা। আমাজনের পণ্যগুলির মধ্যে মূলত ছিল ফুড কন্টেইনার, স্টিলের বোতল, সিলিং ফ্যান, খেলনা ইত্যাদি। অন্যদিকে ফ্লিপকার্টের পণ্যের মধ্যে ছিল শিশুদের ডায়াপার, স্টেইনলেস স্টিলের বোতল ইত্যাদি।
BIS এর এই অভিযান প্রমাণ করেছে, অনলাইনে কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিনের পর দিন বাড়লেও পণ্যের মানের দিক থেকে কোন আপস করা যাবে না। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে BIS এই পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে এরকম পণ্য সরবরাহ বন্ধ হয়। আর এই পদক্ষেপের ফলে ভারতের অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবার থেকে আরো নিরাপত্তা এবং গ্রাহকদের আস্থা আরও মজবুত হবে।
ফ্ল্যাগশিপ ফোন মানেই বেশি দাম। কিন্তু সেটা একটু পুরনো হয়ে গেলেই দাম কমতে থাকে। ফলে…
Infinix Note 50X কোম্পানির নতুন বাজেট ফ্রেন্ডলি ফিচার সমৃদ্ধি ৫জি স্মার্টফোন। যা বেশ আলোড়ন ফেলেছে…
বাইক হোক বা স্কুটার, টু-হুইলার কেনার পর কিছুদিন না যেতেই ক্রেতাদের একাংশের তা নিয়ে অভিযোগের…
এখনকার সময়ে ভারতে ৮,০০০ টাকার মধ্যে 5G স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু কিছু ব্র্যান্ড…
চার চাকার বাজারে দেশ-বিদেশ মাতালেও দু’চাকার প্রতি এখনও পর্যন্ত টাটা মোটরসের কোনও আগ্রহ চোখে পড়েনি।…
সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সোনা শুধুমাত্র একটি ধাতু নয়। বরং এটি সঞ্চয়, বিনিয়োগ, গয়না সবকিছুর এক…
This website uses cookies.