বাড়িতে গুরুজন আসা হোক বা দুর্গা পুজো, ছোটদের বড়দের পা ছোঁয়ার রেওয়াজ ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। মা-বাবা, দাদু-দিদার আশীর্বাদ নেওয়া হোক বা বিয়ের সময় শ্বশুর-শাশুড়ি বা স্বামীর পা ছোঁয়া হোক রেওয়াজ চলছে।
ভারতের সংস্কৃতিতে পা ছোঁয়া গুরুজনদের সম্মান জ্ঞাপন করাকে বোঝায়। যদি কেউ তা না করে সে অশ্রদ্ধার পাত্র-পাত্রী হয়। তবে এর পিছনে যে শুধুমাত্র শ্রদ্ধা ভক্তি আসল কারণ তা নয়, এর পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানও। বলেন কী? পা ছোঁয়ায় আবার বিজ্ঞান যোগ?
হ্যাঁ, পা ছোঁয়ারও বিজ্ঞান রয়েছে। পা ছুঁয়ে প্রণাম করাকে এক্সারসাইজ করা বলা যায়। আসলে প্রণাম করার সময় মানুষকে ঝুঁকতে হয়। এর ফলে শরীরের অর্ধেকটা বেঁকে যায় অনেকটা ধনুকের মতো। এরপর হাত দিয়ে সেই ব্যক্তির পা ছুঁতে হয়, এর ফলে শারীরিক কসরত হয়।
উল্লেখ্য, শরীরের বাঁ দিকটায় নেতিবাচক শক্তি এবং ডানদিকে ইতিবাচক শক্তি থাকে। একইরকম ভাবে উল্টোদিকের মানুষটার মধ্যেও তাই থাকে। এর ফলে বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পা ছোঁয়া এবং ডান হাত দিয়ে ডান পা, ইতিবাচক ও নেতিবাচক শক্তির একটা বৃত্ত পূর্ণ হয়।
এছাড়াও মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে যে, যুধিষ্ঠির বলেছিলেন, যখন কেউ বড়দের পা ছুঁয়ে প্রণাম করে, তখন সেই ব্যক্তির মধ্যে আলাদা এক ধরণের শক্তি আসে। এছাড়াও বিশিষ্ট মুনি-ঋষিরা বলেছেন, বড়দের পা ছুঁয়ে প্রণাম করলে আলাদা শক্তি, জ্ঞান, বুদ্ধি, খ্যাতি বাড়ে।