শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: সিম কার্ড (SIM Card) নিয়ে এবার আরও বড় পদক্ষেপ নিল সরকার। আপনারও যদি ঘন ঘন ফোনের সিম কার্ড বদল করার প্রবণতা থেকে থাকে তাহলে আপনার জন্য রইল অত্যন্ত জরুরি খবর। একটা ভুল আপনাকে জেলে পৌঁছে দিতে পারে সেটা জানেন কি? ভারতে সম্প্রতি সাইবার জালিয়াতির ঘটনা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। টেলিযোগাযোগ বিভাগ (DoT) এই সমস্যাটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং টেলিকম সম্পদের অপব্যবহার রোধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
প্রতারণা রুখতে বড় পদক্ষেপ সরকারের
সাইবার অপরাধীরা প্রতারণা করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। এক রিপোর্ট অনুসারে, এই অপরাধীরা সিম কার্ড এবং অন্যান্য টেলিকম শনাক্তকারী যেমন এসএমএস হেডার সংগ্রহ করে মানুষকে বিভ্রান্তিকর বার্তা পাঠায়। এই ধরণের জালিয়াতি সাধারণত মিথ্যা অজুহাতে অথবা অন্য ব্যক্তির পরিচয় চুরি করে করা হয়।
বাড়ছে সাইবার জালিয়াতির ঘটনা
একটি বড় বিষয় যা সামনে এসেছে তা হলো, কিছু লোক নিজের নামে সিম কার্ড নেয় এবং তারপর অন্যদের ব্যবহারের জন্য দিয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে, এই সিম কার্ড ব্যবহারকারীরা সাইবার জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত, যার কারণে প্রকৃত কার্ডধারীও অসাবধানতাবশত অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
তাছাড়া, অনেক সময় জাল নথি ব্যবহার করে, জালিয়াতি করে বা অন্য কারো পরিচয় ব্যবহার করে সিম কার্ড পাওয়া যায়। এটি টেলিকম আইন ২০২৩ এর নিয়ম লঙ্ঘন। তদন্তে আরও জানা গেছে যে কিছু বিক্রয় কেন্দ্র অবৈধভাবে এই সিম কার্ড বিক্রিতে সহায়তা করেছিল, যা তাদেরকে অপরাধের অংশীদার করে তুলেছিল।
প্রতারকরা লোকেদের প্রতারণা করার জন্য অন্যান্য টেলিকম শনাক্তকারী যেমন আইপি ঠিকানা, আইএমইআই নম্বর (মোবাইল ডিভাইস শনাক্তকরণ নম্বর) এবং এসএমএস হেডার পরিবর্তন করার কৌশলও ব্যবহার করে।
সতর্ক করল DoT
টেলিযোগাযোগ বিভাগ (DoT) এই ধরনের জালিয়াতির বিষয়ে কঠোর সতর্কতা জারি করেছে। টেলিযোগাযোগ আইন, ২০২৩ এর অধীনে এই কার্যকলাপগুলিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
• ধারা 42(3)(c) – টেলিকম শনাক্তকারীর হেরফের নিষিদ্ধ করে।
• ধারা ৪২(৩)(ঙ) – জালিয়াতির মাধ্যমে সিম কার্ড বা অন্যান্য টেলিকম পরিচয়পত্র পাওয়াকে অবৈধ করে তোলে।
• ধারা ৪২ (৭) – এতে বলা হয়েছে যে, এই অপরাধগুলি ১৯৭৩ সালের ভারতীয় দণ্ডবিধিতে বর্ণিত হিসাবে আমলযোগ্য এবং জামিন অযোগ্য হবে।
টেলিকম আইন, ২০২৩ এর ৪২(৩) ধারা অনুযায়ী, দোষীদের তিন বছর পর্যন্ত জেল, ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে। ধারা ৪২(৬) এ উল্লিখিত অপরাধে সহায়তাকারীদের ক্ষেত্রেও একই শাস্তি প্রযোজ্য।