Mamata Banerjee: দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল হয়ে গিয়েছে। আর এর জেরে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ এসএসসি অফিসের সামনে বা বিকাশভবনের সামনে দিনরাত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের এখন একটাই দাবি, যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশ করা হোক কমিশনের তরফ থেকে।
কিন্তু তারা অভিযোগ করছে পর্ষদ এখনো এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দেয়নি। আর এখানে উঠছে সব থেকে বড় প্রশ্ন। শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগে কেন দুর্নীতি? স্কুলে অশিক্ষক কর্মীদের কোন গুরুত্ব নেই কেন? রাজ্য সরকার এবং এসএসসির ভূমিকা নিয়ে এখন ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন চাকরিহারা কর্মীরা।
মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা
তবে এখানে চাকরিহারা শিক্ষকদের স্বস্তি দিতে সাময়িকভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ এক ঘোষণা করে বসেন। নবান্নের এক বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন, যতদিন না চূড়ান্ত আইন নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন চাকরিহারা অশিক্ষক কর্মীদেরকে মাসিক ভাতা দেওয়া হবে। হ্যাঁ একদম ঠিকই পড়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী যেমনটা ঘোষণা করেছে, গ্রুপ সি চাকরিহারা কর্মীরা প্রতি মাসে ২৫০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন এবং গ্রুপ ডি চাকরি হারা কর্মীরা প্রতি মাসে ২০০০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। আর এই অর্থ প্রদান করা হবে রাজ্য সরকারের সোশ্যাল সিকিউরিটি স্কিমের আওতায়।
আইনি লড়াইয়ের পথেও কথা বললেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পরিষ্কার করে দেন যে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে। তবে তিনি জানান, তাড়াহুড়ো করে কোন ভুল করতে চাইছি না। আইনি পরামর্শ নিয়ে আমরা এগাবো। আশা করছি, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই দ্রুত সমাধান পেয়ে যাব।
তিনি আরো জানান, আমরা কাউকে বঞ্চিত করতে চাই না। শিক্ষক হোক কিংবা অশিক্ষক কর্মী, সবার জন্যই আইন সমান ব্যবস্থা নেবে। কোর্টের রায়কে মেনেই সামনের দিকে এগোতে হবে।
আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় কিছুটা স্বস্তির হওয়া পেয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা। যদিও তাদের এখন একটাই দাবি, ভাতা সাময়িকভাবে স্বস্তি দিলেও যোগ্য ব্যক্তিদের দ্রুত পুনর্বহাল করার জন্য তালিকা প্রকাশ করতে হবে।