প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিচার হয়েছিল এক বছর আগেই। কিন্তু সেই সময় রাজ্য হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করায় সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। তবে তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সেই এক বছর পরেই এপ্রিলেই প্রধান বিচারপতির এক কলমের আঁচড়ে রাতারাতি চাকরিহারা হয়ে পড়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। যদিও বারবার তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও ডিআই অফিস অভিযান, রিলে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চাকরিহারারা। আর এই আবহে এবার যোগ্য বাছাইয়ের কাজে নামল বিকাশ ভবন।
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
যোগ্য শিক্ষক বাছাইয়ের কাজে নামল বিকাশ ভবন
গত শুক্রবার, ২০১৬ সালের OMR মিরর ইমেজ প্রকাশের দাবিতে এসএসসি ভবন অভিযান কর্মসূচি ছিল। এবং সেইদিনই বিকেলে বিকাশ ভবনে (Bikash Bhavan) শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠকও করেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ চলে সেই বৈঠক। সেখানে চাকরিহারারা তিনটি দাবি তুলে ধরেছিল। এক, যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথক তালিকা রয়েছে কিনা। যদি থাকে তা এসএসসি কবে প্রকাশ করবে? দুই, ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ থাকলে সেটি কবে প্রকাশ করবে এসএসসি। এবং তিন, এপ্রিল মাসের বেতন চাকরিহারারা পাবেন কিনা। তবে এই দাবিগুলির মধ্যে দুটি দাবি মানা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্যে’র তালিকা প্রকাশ। আগামী ২১ এপ্রিলের মধ্যে ‘যোগ্য’ ও ‘অযোগ্যে’র তালিকা প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি।
জেলা ভিত্তিক তালিকা তৈরি করবে SSC
এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সেই বৈঠকে বলা হয়েছে ২০১৬ সালের যে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে তার OMR এর মিরর ইমেজ প্রকাশ করা যায় কি না, সে বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেওয়া হবে। যদি আইনি কোনও বাধা না থাকে, তা হলে সেটাও খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে এসএসসির ওয়েবসাইটে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার ২০১৬ সালের প্যানেলে ‘যোগ্য-অযোগ্য’ এমন চাকরিহারাদের জেলা ভিত্তিক পৃথক তালিকা এসএসসির কাছে চেয়েছে বিকাশ ভবন। যদিও এর আগে সারা রাজ্যের অযোগ্য ও চিহ্নিত নয় এমন শিক্ষকদের তালিকা শিক্ষা দপ্তরকে দিয়েছিল এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু সেই তালিকায় সন্তুষ্ট নয় শিক্ষা দপ্তর। এবার জেলা ভিত্তিক ‘যোগ্য-অযোগ্য’ তালিকা চাইল তারা।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
এই প্রসঙ্গে বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, SSC যত দ্রুত সম্ভব এই তালিকা তাদের কাছে পাঠিয়ে দেবে। তত তাড়াতাড়ি জেলায় জেলায় থাকা ডিআই বা স্কুল পরিদর্শকদের সেই ভিত্তিতে কাজে লাগিয়ে দেবে শিক্ষা দফতর। অবশ্যই সেই কাজ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই করা হবে। জেলাজুড়ে চিহ্নিত করা হবে চাকরিহারাদের। অর্থাৎ এক্ষেত্রে খানিক স্বস্তি পেল চাকরিহারারা।