শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: বছরের শুরুতেই নতুন এক আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়ল দেশবাসীর। আর এই আশঙ্কা হল নতুন এক সাইক্লোনকে ঘিরে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, এবার দেশের দিকে তাক করে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন আলফ্রেড (Cyclone Alfred)। আসন্ন এই সাইক্লোনের আশঙ্কায় থরহরিকম্প প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ। এই সাইক্লোনটি আছড়ে পড়লে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদারা। আরও বিশদ জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
ধেয়ে আসছে নতুন সাইক্লোন
না তবে এটি ভারতের দিকে আসছে, এটাই স্বস্তি। জানা গিয়েছে, আলফ্রেড একটি ক্যাটাগরি ১ ঘূর্ণিঝড়, যা আটলান্টিক মহাসাগরের একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের সমতুল্য। এটি দ্রুত ব্রিসবেনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যেখানে প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ বাস করে। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত, ঘূর্ণিঝড়টি ব্রিসবেন থেকে প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার পূর্বে ছিল এবং ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার বেগে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এর আঘাতের আগেই উপকূলীয় অঞ্চলে বিপজ্জনক ঢেউ উঠতে শুরু করেছে।
সমুদ্রে উঁচু ঢেউ উঠছে
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে যে এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রে উঁচু ঢেউ উঠছে। গোল্ড কোস্টে ১২.৩ মিটার উঁচু একটি রেকর্ড ঢেউ দেখা গেছে, যা উপকূলীয় অঞ্চলে বিপদ বাড়িয়েছে। উত্তর নিউ সাউথ ওয়েলসে (এনএসডব্লিউ) তীব্র হাওয়া এবং ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ৩৫,০০০ বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রশাসন বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধারের জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করছে।
সকলকে সতর্ক করল সরকার
সরকার জনগণকে উপকূলীয় এলাকা থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করেছে। গোল্ড কোস্ট সিটি কাউন্সিল পাথর এবং বিপজ্জনক জলের কাছে যাওয়ার জন্য ১০,০০০ ডলার (প্রায় ৮.৭১ লক্ষ টাকা) জরিমানার সতর্কতা জারি করেছে।
টানা বৃষ্টিপাত এবং তীব্র হাওয়ার কারণে আবার বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে সক্রিয় থাকার এবং নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) NSW রাজ্য জরুরি পরিষেবা ১,৮০০ টিরও বেশি কল পেয়েছে। এখন পর্যন্ত কমপক্ষে তিনটি বন্যা উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যার ফলে অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।