বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: নিমিষে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে শত্রুর ব্রহ্মাস্ত্র! ভারতের আকাশে ঢুকলেই যোগ্য জবাব পাবে চিন, পাকিস্তানের মতো বিরোধীরা! আকাশ সুরক্ষা বাড়াতে গোপনে মারণাস্ত্র তৈরি করছে ভারত। সূত্রের খবর, শত্রুর শক্তিশালী ড্রোন মিসাইল হোক কিংবা ফাইটার জেট, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সেটি চিহ্নিত করে ঝলসে দেবে ‘সূর্য।’
গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন
Join Now
হ্যাঁ, সূর্যের প্রখর তেজের বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এই গোপন অস্ত্রের নাম রেখেছেন সূর্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সকলের আড়ালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সহযোগে শত্রু বিনাশকারি অস্ত্র তৈরিতে হাত লাগিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা DRDO। জানা যাচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই টেস্টিং পর্ব শেষ করে সেটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্রাগারে ঠাঁই পাবে।
জোর কদমে চলছে সূর্যর কাজ
বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের নতুন প্রজন্মের রক্ষাকর্তা অর্থাৎ অত্যাধুনিক রকেট লঞ্চার ও মারন ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী সূর্যর কাজ চলছে জোড় কদমে। জানা যাচ্ছে, এই অস্ত্রটিকে মূলত ডিরেক্ট এনার্জি ওয়েপেন হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে দেশের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরা।
বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে
Join Now
বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্য আগামী দিনে ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের এমন এক ব্রহ্মাস্ত্র হতে চলেছে যা যেকোনও মূল্যে যুদ্ধের চেহারা পাল্টে দিতে পারে। সিংহভাগেরই দাবি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই সূর্য আগামী দিনে শত্রুদের সাথে লড়াইয়ে গেম চেঞ্জার হয়ে উঠবে। কেননা, অস্ত্রটির মূল শক্তি অর্থাৎ লেজার, মাইক্রোওয়েভ বা তীক্ষ্ণ রশ্মির মূল রসদটিকে কাজে লাগাবে ভারতীয় সেনা।
সূর্যর শক্তি
ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা DRDO জানিয়েছে, আগামী দিনে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটাবে এই সূর্য। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এর শক্তি হবে, কমপক্ষে 300 কিলোওয়াট। যার দরুণ সূর্য একাই প্রায় 20 কিলোমিটার এলাকা নিজের দখলে নিয়ে নেবে। এর ফলে, তার রেঞ্জে আসা সমস্ত ক্ষেপণাস্ত্র একেবারে গুঁড়িয়ে মাটির সাথে মিশে যাবে বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞ বিজ্ঞানীরা।
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য মূলত তার তীক্ষ্ণ লেজার ও মাইক্রোওয়েভ শক্তিকে ব্যবহার করে শত্রুর ফাইটার জেট বা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে সহজেই ধ্বংস করবে। সূর্যকে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিইডব্লিউ হিসেবে তৈরি করতে চাইছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা। সূত্রের খবর, সূর্যর গবেষণার কাজে যোগ দিয়েছে DRDO-র লেজার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সেন্টার।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এই অত্যাধুনিক অস্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী হতে চলেছে যা নিমেষে শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র গুলিকে চিহ্নিত করে পুড়িয়ে দেবে। DRDO বলছে, আগামী 2027 সালের মধ্যে এটির প্রটোটাইপ তৈরির কাজ শেষ করবে বিজ্ঞানীরা। তবে অনেকেই মনে করছেন, এটি যেহেতু সরাসরি শক্তির অস্ত্র ফলত, এর কাজ দ্রুত শেষ করাটা বিজ্ঞানীদের জন্য যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে।
অবশ্যই পড়ুন: মুম্বই হামলার মূলচক্রীকে বাঁচাবেন দুঁদে আইনজীবী! ঠিক হয়ে গেল রানার রক্ষাকর্তা
সূর্য তৈরি করেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে ভারত!
বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, সূর্য যেহেতু সরাসরি শক্তির হাতিয়ার, তাই মূলত সব দেশের কাছেই এর ব্যবহার ক্রমাগতভাবে চালিয়ে যাওয়াটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। কেননা, সরাসরি শক্তির অস্ত্রের ব্যবহার ক্রমাগত চালিয়ে যেতে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। তা না পাওয়া গেলে এর মূল শক্তি অর্থাৎ লেজার বা মাইক্রোওয়েভ তৈরি করা যাবে না। কাজেই বলা যায়, শত্রুরা যদি প্রথমেই বিদ্যুৎ সরবরাহের কেন্দ্রগুলি গুঁড়িয়ে দেয় তবে এই অস্ত্র একেবারে অসাড় হয়ে পড়বে।
এছাড়াও, সব ধরনের আবহাওয়ায় এই ধরনের সরাসরি শক্তির হাতিয়ার ব্যবহার করা আদৌ সম্ভব কিনা তা আজও অস্পষ্ট। সেই সাথে সূর্যর মতো অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিক থেকে দেশের সীমান্ত এলাকা ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে। সব মিলিয়ে, সমস্যাাহীন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে মাঝ আকাশে শত্রুদের শায়েস্তা করলেও সূর্য তৈরির পর তার নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবহার আদৌ করা যাবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে নানা মহলে।